খেলাধুলা

ফ্রি টিকিট বন্ধ, মিরপুরে বিক্ষুদ্ধ ছাত্রদের হট্টগোল  

শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হচ্ছে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ। গ্যালারিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হাজারখানেক দর্শক। বাইরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। কিন্তু সেটি ভেদ করে একটু পরপরই শোনা যাচ্ছিল হট্টগোলের শব্দ।  

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায় স্টেডিয়ামের ১ নাম্বার গেটের পাশে টিকিট বুথ ঘিরে বিক্ষুদ্ধ ছাত্ররা শেরগোল করছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা। 

কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায় দুটি বিষয় নিয়ে ছাত্রদের অভিযোগ। এর আগে টেস্ট ম্যাচে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দেখিয়ে পাওয়া যেতো ফ্রি-টিকিট। এবার সেটি আর হচ্ছে না। দ্বিতীয় কারণ, সর্বনিম্ন ১০০ টাকার টিকিটও পাওয়া যাচ্ছিল না। ছাত্রদের অভিযোগ, চাওয়া হচ্ছে বাড়তি দাম। 

এক পর্যায়ে ছাত্রদের সঙ্গে উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে পরিস্থিতি শান্ত করতে এগিয়ে আসেন সেনাসদস্যরা। পরে তাদের  মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। ছাত্রদের অভিযোগ শুনে পরে তারা বিসিবির কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের ১০০ টাকা মূল্যের টিকিটের ব্যবস্থা করে দেন। 

এদিকে দেখা যায়, ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের অধিকাংশ আসন ফাঁকা। তবুও টিকিট কেন মিলছে না? এমন প্রশ্ন করলে বুথের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। তবে বাইরের কয়েকজনের অভিযোগ- এই টিকিট চলে গেছে তৃতীয় পক্ষের হাতে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ছাত্রদের জন্য ফ্রি টিকিট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিসিবির টিকিট সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এবার ফ্রি টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।’

নিরাপত্তার কারণে গ্যালারিতেও দেখা গেছে ভিন্নতা। ইস্টার্নসহ কোনো স্ট্যান্ডের লোয়ারে (নিচুতে) থাকা আসনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। মাঠের খুব কাছে হওয়াতে ঝুঁকি নিতে চায়নি বোর্ড।  

খেলা দেখতে আসা একজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা আগে ফ্রিতে টিকিট পেতাম। এবার সেটা পাচ্ছি না। এখন কাউন্টারেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। ১০০ টাকার টিকিট একবার বলে নাই, আবার বলে ২০০ টাকা।’

এদিকে দুপুরের দিকেও সকালের মতো স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তাসহ আশেপাশের সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। টিকিট ছাড়া কাউকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না ওইসব সড়কে।    উল্লেখ্য, সাকিব আল হাসানের দেশে আসা ও না আসাকে ঘিরে আন্দোলনের কারণে এমন নিরাপত্তার সূত্রপাত। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যাতে না ঘটে তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।