খেলাধুলা

সুইপে-সুইপে ভেরেইনার সেঞ্চুরি 

তাইজুল ইসলামকে ডিপ স্কয়ারে সুইপ করেই ভোঁ দৌড়। উচ্ছ্বাসে ভাসলেন শূন্যে। হেলমেট খুললেন, ড্রেসিংরুমের দিকে ফিরে নিজেই কুর্নিশ জানালেন। আলিঙ্গন করলেন দারুণ জুটি গড়তে সহায়তা করা সতীর্থ ডেন পিটকে। এমন উল্লাসই মানায় কাইল ভেরেইনার।

মিরপুর শের-ই-বাংলার দুর্বোধ্য উইকেটে ১৩৪ বলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন আউট হয়েছেন তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১১৪ রান। তার এই শতকে চড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশকে ছুঁড়ে দিয়েছে ২০২ রানের চ্যালেঞ্জ।

ভেরেইনার ইনিংসটি ছিল সুইপময়। কখনো সুইপ, কখনো রিভার্স সুইপ আবার কখনো স্লগ সুইপ! এভাবেই তাইজুল থেকে শুরু করে মেহেদি হাসান মিরাজদের মামুলি বানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে এশিয়ার মাটিতে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পান। 

১৪৪ বলে ভেরেইনার ১১৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি চার ও ২টি ছয়ে। ৮টি চারের ৫টিই এসেছে সুইপ থেকে, যার অধিকাংশটি হজম করেছেন তাইজুল। দুটি ছয় হাঁকিয়েছন, তার মধ্যে নাঈম হাসানকে স্লগ সুইপে আছড়ে ফেলেছেন বাউন্ডারির বাইরে।

ভেরেইনার বাউন্ডারির পরিসংখ্যানে স্পষ্ট, সুইপে ভর করে মিরপুরের কঠিন এই উইকেটে রান বের করেছেন। শুধু তাই নয়, সিঙ্গেলস-ডাবলসেও বেশিরভাগ সুইপ শট খেলতে দেখা গেছে ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে।

অথচ ভেরেইনা যখন গতকাল শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নামেন তখন চলছিল প্রোটিয়াদের উইকেটের মিছিল। তাইজুলের ঘূর্ণিজাদু রুখে দিয়ে শেষ বিকেলে দলকে এনে দেন স্বস্তি। দ্বিতীয় দিন সকালে বাংলাদেশ যখন উইকেটের জন্য মরিয়া তখন ভেরেইনা যেন ঘাঁটি গড়েন হোম অব ক্রিকেটে।

১৮ রানে দিন শুরু করেন ভেরেইনা। সঙ্গী আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটার মুল্ডার। দুজনে জুটিতে যোগ করেন ১১৯ রান। মুল্ডার ৫৪ রানে ফিরলেও থামেননি ভেরেইনা। কেশব মহারাজ এসেই শুন্য রানে ফিরলে জাগে শঙ্কা। এবার সঙ্গী হয়ে আসেন পিট। 

ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে ভেরেইনাকে পিট দেন দারুণ সঙ্গ। দুজনের জুটি থেকে আসে ১৩০ বলে ৬৬ রান। এই জুটিতে ভেরেইনা পান ম্যাজিক ফিগারের দেখা। ৮৭ বলে ৩২ রান করে পিট ফিরলে ভাঙ্গে জুটি।