খেলাধুলা

তামিমের স্ট্যাটাসের পর তাইজুলকে পুরস্কৃত করলো টিম ম্যানেজমেন্ট

‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে যথেষ্ট গুরুত্ব ও প্রাপ্য সম্মান সে সবসময় পায় না। ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেও নায়কের মর্যাদা সেভাবে অনেক সময় পায় না। তবু নিজের কাজটুকু করে গেছে, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর’-তাইজুল ইসলামের দ্রুততম ২০০ উইকেটের কীর্তির পর অভিযোগের সুরে এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে সাকিব আল হাসানের রেকর্ড ভেঙে দ্রুততম ২০০ উইকেটের কীর্তি অর্জন করেন তাইজুল। ৮৪ ইনিংসে উইকেটের ডাবল সেঞ্চুরি করেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সাকিবের লেগেছে ৯১ ইনিংস।

তামিমের এমন অভিযোগের পরই যেন ঘুম ভাঙে টিম ম্যানেজমেন্টের। দলের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পুরস্কৃত করা হয় তাইজুলকে। একই সঙ্গে সতীর্থরা তাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। কিন্তু কী পুরস্কার সেটি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না কেউই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ম্যানেজমেন্টের এক কর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘তাইজুলকে দলের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। অর্থ হতে পারে, ক্রেস্ট হতে পারে। কিন্তু আমরা এটা এই মুহুর্তে প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। ম্যাচ শেষে আমাদের আরও পরিকল্পনা আছে।’ 

সেই স্ট্যাটাসে তামিম আরও লিখেছেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, বিশ্ব ক্রিকেটেও যথেষ্ট আলোচনা তাকে নিয়ে হয় না। অথচ অনেক গ্রেট বোলারের চেয়েও কম টেস্ট খেলে ২০০ উইকেট হয়ে গেল তার। বড় কোনো দলের ক্রিকেটার হলে হয়তো তাকে নিয়ে আলোচনা আরও বেশি হতো।’

‘তার পরিসংখ্যান বলে, গত ১০ বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা স্পিনারদের একজন সে। তার পারফরম্যান্স, একাগ্রতা ও নিবেদন বলে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সে অমূল্য এক সম্পদ। আবারও অভিনন্দন তাইজুল। পথের এখনো অনেক বাকি।’

শুধু তাই নয় তামিমের পর তাইজুলকে শুভকামনা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্তও। বাংলাদেশ অধিনায়ক লেখেন, ‘বছরের পর বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করে দলের জন্য অবদান রেখেছেন আপনি। ফরম্যাট যেটাই হোক সেখানে আপনার থেকে সেরাটাই পেয়েছে দল। দলের জন্য আপনি সবসময় নিজের সেরাটা দিয়েছেন, আশা করি সামনে এর থেকেও বেশি দিবেন। ২০০ উইকেটের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা, ২০০ কে দ্রুত ৩০০-৪০০ হতে দেখতে চাই।’

এর আগে গতকাল দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনেও ভালো করার পরও তারকা খ্যাতি না পাওয়া নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তাইজুল। উত্তরে এই স্পিনার বলেছেন, ‘আসলে আমাদের দেশে সত্যি কথা বলতে কী, অনেক কিছুই মুখে মুখে হয় আর কী। মুখে মুখে বিষয়টা হলো, অনেকে আছে খারাপ করেও অনেক সময় আছে ট্রল হতে হতে তারকা হয়ে গেছে। আবার অনেক ভালো করে তারকা হতে পারেনি। এরকম অনেক হয়েছে। আমি এটা মেনে নিয়েছি। মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো (উপায়) নাই।’