খেলাধুলা

সেমিফাইনালে যাওয়া হলো না বাংলাদেশের

ইমার্জিং এশিয়া কাপের গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ। সেমিফাইনালে যেতে জিততেই হতো বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেওয়া ১৬২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটাও হয়েছিল উড়ন্ত। সাইফ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩.৩ ওভারেই তুলে ফেলেছিল ৪১ রান। পাওয়ার প্লেতে ৫৯!

কিন্তু এরপর টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ১৯ রানে। তাতে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় তাদেরকে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় সেমিফাইনালে। তাদের সঙ্গে শেষ চারে নাম লিখিয়েছে আফগানিস্তানও।

রান তাড়া করতে নেমে ৪১ রানের মাথায় ইমন আউট হন ১০ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রান করে। তার স্ট্রাইক রেট ছিল ২৪০! এরপর সাইফ খেলছিলেন হাত খুলে। ২০ বলে ৩ ছক্কায় ২৯ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ছিল ৫৯। সেখান থেকে নাঈম শেখ ও তৌহিদ হৃদয় ৭০ রান পর্যন্ত যান। এই রানের মাথায় নাঈম ফেরেন ৮ রান করে।

এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ৭৯ রানে আকবর আলী (৯), ৮৭ রানে শামীম পাটোয়ারী (৪), ৯৫ রানে মাহফুজুর রহমান রাব্বি (৭) ও ১১৭ রানের মাথায় রাকিবুল হাসান (০) ফেরেন সাজঘরে।

সেখান থেকে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন আবু হায়দার রনি। ১৬ ও ১৭তম ওভারে তার তিন ছক্কার মারে বাংলাদেশ ব্যবধান কিছুটা কমিয়েও এনেছিল। শেষ ৩ ওভারে জিততে প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান। নিতে পারে কেবল ১৮ রান। ২৫ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন রনি। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন রেজাউর রহমান রাজা। আর বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে থামে ১৪২ রানে।

বল হাতে শ্রীলঙ্কার দুশান হেমন্ত ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ম্যাচসেরাও হন তিনি।

তার আগে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান করে। পবন রত্নায়েকে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন সর্বোচ্চ ৪২ রান। লাহিরু উদারা ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫। ২ চারে শাহান  আচার্যের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। ১ চার ও ১ ছক্কায় যশোধা লঙ্কা করেন ২৩ রান। আর ১ চার ও ১ ছক্কায় অধিনায়ক নুয়ানিন্দু ফার্নান্দো খেলেন ১৯ রানের ইনিংস। তাতে শ্রীলঙ্কা ১৬১ রানের লড়াকু পুঁজি পায়।

বাংলাদেশের রিপন মন্ডল ও রাজা ২টি করে উইকেট নেন।