খেলাধুলা

ওয়াশিংটনের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে বড় সংগ্রহ পেল না নিউ জিল্যান্ড

ওয়াশিংটন সুন্দরের টেস্টে অভিষেক হয় ২০২১ সালে। সবশেষ টেস্টটি তিনি খেলেছিলেন ২০২১ সালের ৪ মার্চ। ক্যারিয়ারের ৪ টেস্টের ৭ ইনিংসে উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ৬টি।

ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের প্রথম টেস্ট দলেই ছিলেন না তিনি। তিনদিন আগেও দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডেও ছিলেন না। কিন্তু রঞ্জি ট্রফিতে সবশেষ ম্যাচে তামিলনাড়ুর হয়ে  দিল্লির বিপক্ষে সেঞ্চুরি (১৫২) ও দুই ইনিংসেই ৩টি করে উইকেট নিয়ে আলোচনায় আসেন ওয়াশিংটন। এরপর তাকে ডাকা হয় দ্বিতীয় টেস্টের দলে। সকালে সুযোগ পান সেরা একাদশেও।

এরপর তিনি দেখালেন ভেল্কি। এই অফস্পিনার ২৩.১ ওভার বল করে ৪ মেডেনসহ ৫৯ রান দিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৭টি উইকেট নেন। বাকি তিনটি উইকেট নেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। তাতে নিউ জিল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে আগে ব্যাট করতে নেমে ৭৯.১ ওভারে ২৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায়।

এরপর ভারত ব্যাট করতে নেমে ১১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬ রান তুলে প্রথমদিন শেষ করে। সফরকারীদের চেয়ে এখনও তারা পিছিয়ে আছে ২৪৩ রানে। যশস্বী জয়সওয়াল ৬ ও শুভমান গিল ১০ রানে অপরাজিত আছেন। রোহিত শর্মা দলীয় ১ রানে শূন্যরান করে আউট হন।

অবশ্য ৩২ রানেই নিউ জিল্যান্ড প্রথম উইকেট হারিয়েছিল। অশ্বিনের বলে টম ল্যাথাম ফিরেন ১৫ রান করে। ৭৬ রানের মাথায় অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন উইল ইয়াং (১৮)। সেখান থেকে ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র দলীয় সংগ্রহকে ১৩৮ পর্যন্ত টেনে নেন। এই রানের মাথায় কনওয়েকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান অশ্বিন। ১১ চারে ৪১ রান করে যান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

এরপর ড্যারিল মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে রাচিন দলীয় সংগ্রহকে নিয়ে যান ১৯৭ পর্যন্ত। এরপর ৩ উইকেটে ১৯৭ থেকে ২৫৯ রানে যেতে অলআউট হয়ে যায় নিউ জিল্যান্ড। তাদের বড় সংগ্রহের ক্যানভাসে ধ্বংসযজ্ঞ চালান ওয়াশিংটন। তার ঘূর্ণি জাদুতে দিশেহারা হয়ে অলআউট হয়ে যায় কিউইরা।

দলীয় ১৯৭ রানের মাথায় ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৬৫ রান করা রাচিনকে ফিরিয়ে শুরু ওয়াশিংটনের। আর ২৫৯ রানের সময় মিচেল স্যান্টনারকে ফিরিয়ে শেষ করেন ব্ল্যাক ক্যাপসদের ইনিংস।

ওয়াশিংটনের সাতটি উইকেটের পাঁচটিই ছিল বোল্ড। এছাড়া একটি ছিল এলবিডব্লিউ ও একটি ছিল কট অ্যান্ড বোল্ড।

কনওয়ে ও রাচিনের ফিফটির বাইরে ৩৩ রান করেন স্যান্টনার। ড্যারিলের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। বাকিদের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটায়।

প্রথম টেস্ট হেরে পিছিয়ে থাকা ভারতের সামনে এবার টানা ১৮তম সিরিজ জয়ের রেকর্ড রক্ষা করার মিশন। এই টেস্ট জিতলে ফিরবে সমতা। হেরে গেলে ১৮ সিরিজ পর তারা ঘরের মাঠে সিরিজ হারবে।