সিরিজের আগে কিংবা মাঝে বাইরের ঘটনায় আলোচিত থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে সাকিব আল হাসানের আসা না আসা আর মাঝে নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাওয়া নিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গন আলোচনার তুঙ্গে।
বাইরের এসব ঘটনায় ক্রিকেটারদের মনোযোগে কোনো ব্যাঘাত ঘটে কি না? চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে এমন প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্সের কাছে। তার মত কারও মনোজগতে এসব বিষয় যদি ব্যাঘাত সৃষ্টি করে তাহলে তার কিছু করার নেই।
‘আমার মনে হয় না এটা মনোযোগ সরিয়ে নিয়েছে। তারা যখন আমাদের সাথে থাকে, আমরা তখন খেলায় মনোযোগের চেষ্টা করি। কীভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়, গত ২ দিন সেই চেষ্টাই করেছে। আমরা মাঠের ক্রিকেটে মনোযোগ রাখার চেষ্টা করেছি। তবে যদি তাদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে থাকে, আমার কিছু করার নেই।’
শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাওয়া নিয়ে প্রশ্নও হয়। তবে ম্যাচের বাইরের বিষয় বলে এটি এড়িয়ে গেছেন মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম।
প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩০৭। টনি ডি জর্জি ১৪১ রান করেন অপরাজিত আছেন। ১০৬ রান করেন ট্রিস্টাস স্টাবস আউট হয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেটই নেন তাইজুল ইসলাম। এমন পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করছেন সিমন্স।
‘একটু তো হতাশাজনকই। তবে এটা ব্যাটিংয়ের জন্য দুর্দান্ত উইকেট। বোলাররা ভালোই করেছে। কিছু সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে, যা কাজে লাগালে ৪-৫ উইকেট পড়ে যেতে পারত। দিনটা কঠিন। মুদ্রার উল্টো পিঠ। অবশ্যই হতাশাজনক।’
জ্বরের কারণে লিটন দাস খেলতে পারেননি। তিনি আছেন টিম হোটেলে। একাদশে ছিলেন এনসিএল খেলে আসা জাকির হাসান আর জাকের আলী অনিকের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। জাকির-অঙ্কনকে খেলানো নিয়ে যোগাযোগহীনতা ছিল কী না এমন প্রশ্নও ওঠে। তবে এমন কিছু ছিল না বলে জানান এই উইন্ডিজ কোচ।
‘এখানে ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই। তাদের প্রয়োজন হলে তো ডাকবই। কনকাশন হলো, অসুস্থতাও, ২ ব্যাটার বাইরে চলে গেছে। এখানে মিসকমিউনিকেশনের কি আছে?’
‘লিটন সুস্থ ছিল না দেখেই অঙ্কন দলে এসেছে। একইসাথে সে একজন উইকেটরক্ষক। জাকেরও কনকাশনের শিকার, না হলে সে-ই থাকত একাদশে। এটা অবশ্যই আদর্শ উপায় নয় স্কোয়াডে অন্তর্ভূক্ত করার। তবে এমনটা হতেই পারে। আশা করি সে সুযোগ কাজে লাগাবে’ -আরও যোগ করেন সিমন্স।