খেলাধুলা

মার্শালের আরেকটি সেঞ্চুরি, ১ রানের অপেক্ষায় অঙ্কন

সেঞ্চুরিতে জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু করেছিলেন মার্শাল আইয়ুব। তৃতীয় রাউন্ডে ফের পেলেন সেঞ্চুরির স্বাদ। এমন সময়ে সেঞ্চুরি তুলেছেন ঢাকা মেট্রোর এই ব্যাটসম্যান যখন দলের লড়াইয়ের খুব প্রয়োজন ছিল। সিলেটে খুলনা বিভাগের ৩৭৬ রানের জবাবে ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংসে ২১০ রানে গুটিয়ে যায়।

ফলোঅনে পড়ে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা যুৎসই হয়নি। কিন্তু চারে নামা মার্শাল একপ্রান্ত আগলে দারুণ ব্যাটিং করে লড়াই করেন। সোমবার ১৩০ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৬তম সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৫ চার ও ১ ছক্কায়। তার দৃঢ়চেতা ইনিংসে ভর করে ঢাকা মেট্রো ৪ উইকেটে ২৯৭ রান তুলে দিন শেষ করেছে ১৩১ রানের লিড নিয়ে। 

মার্শাল বাদে রান পেয়েছেন সামসুর রহমান শুভ (৩২) ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (৪৮*)।

কক্সবাজারের একাডেমি মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে অভিষেক হওয়া ঢাকা বিভাগের মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এছাড়া ৩৮ রানে অপরাজিত আছেন তাইবুর রহমান। ইনিংসের শুরুতে আশিকুর রহমান শিবলি ৫২ ও জয়রাজ শেখ ৭৪ রান করেন।

চট্টগ্রামের করা ৩৭১ রানের জবাবে ঢাকা বিভাগ ৪ উইকেটে ২৮১ রান তুলেছে। এখানও তারা ৯০ রানে পিছিয়ে। শেষ দিকে নাটকীয় কিছু না হলে নিশ্চিত ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে এই ম্যাচ।

বগুড়ায় অপেক্ষা করছে শেষ দিনের রোমাঞ্চ। সিলেটের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩৯ রান। রংপুরের চাই ৮ উইকেট। কার মুখে শেষ হাসি ফোঁটে সেটাই দেখার। ১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২ উইকেটে ৫১ রান তুলে দিন শেষ করেছে সিলেট বিভাগ। ৯ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তৌফিক খান তুষার ও মাইশিকুর রহমান। পিনাক ঘোষ ২৮ ও রেজাউর রহমান রাজা ১ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে রংপুর বিভাগ দ্বিতীয় ইনিংসে ২২০ রানে গুটিয়ে যায়। সিলেটের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন তোফায়েল আহেমদ ও রাহাতুল ফেরদৌস। রংপুরের শুরুর ব্যাটসম্যানরা কেউ রান না পেলেও লেট অর্ডারে তানভীর হায়দার ৭২ ও নবিন ইসলাম ৬৩ রান করে দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন। 

আগামীকাল ম্যাচের শেষ দিনে কারা জয়ের স্বাদ পায় সেটাই দেখার। কক্সবাজারের মূল মাঠে নিষ্প্রাণ ড্রয়ের পথে এগোচ্ছে বরিশাল ও রাজশাহী বিভাগের ম্যাচ। বরিশালের ২০৫ রানের জবাবে রাজশাহী প্রথম ইনিংসে ৭০ রানের লিড পায়। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন প্রীতম কুমার। শেষ দিকে নিহাদুজ্জামান ৩৩ ও ওয়াসি সিদ্দিকী ৩৪ রান করলে লিড নিতে পারে রাজশাহী। পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল বিনা উইকেটে ১০ রানে দিন শেষ করেছে।