:: সংক্ষিপ্ত স্কোর :: আফগানিস্তান: ১৯৫/৭ (৪৪.২ ওভার)
রশিদকে ফিরিয়ে শরিফুলের প্রথম উইকেট: তাসকিন-মোস্তাফিজ আলো ছড়াচ্ছিলেন। কিন্তু উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না আরেক পেসার শরিফুল। অবশেষে রশিদকে সাজঘরে পাঠিয়ে উইকেটের দেখা পেলেন এই পেসার। আউট সাইড অফের বল সজোরে হাঁকিয়েছিলেন, কিন্তু টাইমিং মেলেনি। মিড উইকেটে দাঁড়ানো মোস্তাফিজ ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি। ১ চারে ১১ বলে ১০ রান করেন রশিদ। ১৮৯ রানে সপ্তম উইকেট হারালো আফগানিস্তান। ক্রিজে নবীর সঙ্গী নাঙ্গিয়ালাই খারোতি।
অস্বস্তির জুটি ভেঙে স্বস্তি এনে দিলেন মোস্তাফিজ: হাশমতুল্লাহ-নবীর জুটি বেশ ভোগাচ্ছিল বাংলাদেশকে। ধীরস্থির শুরুর পর দুজনে ছড়ি ঘোরাতে থাকেন। ফিফটি তুলে নেন দুজনেই। ১১৬ বলে পূর্ণ করেন শতরানের জুটি। ফিফটির পর অবশ্য হাশমতুল্লাহকে বেশিদূর যেতে দেননি মোস্তাফিজ। ব্যাক অব লেন্থের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন হাশমতুল্লাহ, বল ব্যাটে লেগে আঘাত করে উইকেটে। ১৭৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ক্রিজে নবীর সঙ্গী রশিদ খান।
নবী-হাশমতুল্লাহর ফিফটি, শতরানের জুটিতে এগোচ্ছে আফগানিস্তান: দুজনের জুটি যখন শুরু হয় দল একেবারে খাদের কিনারায়। রান সত্তুরের ঘরে যেতে নেই হয়ে যায় ৫ উইকেট। এরপর হাসমতুল্লাহ-নবী জুটি গড়ে এগোতে থাকেন। ফিফটির জুটি পর এবার দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫২ বলে ফিফটি করেন নবী। হাশমতুল্লাহর ফিফটি আসে ৮৭ বলে। তার ফিফটির ইনিংসে চারের মার ছিল ২টি।
ফিফটি জুটিতে হাশমতুল্লাহ-নবীর প্রতিরোধ: ৭১ রানে ৫ উইকেটের পতনের পর নবীকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন হাশমতুল্লাহ। শুরুতে ধীরে খেললেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রানের চাকা সচল রাখেন দুজনে। দুজনের জুটিতে দলীয় স্কোর ১০০ পূর্ণ করে ২৫.৫ ওভারে। ষষ্ঠ উইকেটের জুটির ফিফটি হয় ৫৬ বলে। হাশমতুল্লাহ ৩৯ ও নবী ৩৪ রানে ব্যাট করছেন।
মোস্তাফিজ-তাসকিনে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আফগান শিবির: মোস্তাফিজের ওভারে জোড়া উইকেটের পতনের পর প্রতিরোধ গড়েছিলেন হাশমতুল্লাহ-গুলবাদিন। দুজনে ধীর ধীরে এগোচ্ছিলেন সামনের দিকে। ৬১ বলে জুটি গড়েন ৩৬ রানের। এর বেশিদূর এগোতে দেননি তাসকিন। তার শর্ট বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন গুলবাদিন, টাইমিংয়ে গড়বড়। বল উঠে যায় আকাশে, মিড উইকেটে ক্যাচ নেন তানজীদ। ৩টি চারের মারে ৩২ বলে ২২ রান করেন গুলবাদিন। ৭১ রানে ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ক্রিজে হাশমতুল্লাহর সঙ্গী মোহাম্মদ নবী।
মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে বিপাকে আফগানিস্তান: এবার এক ওভারে মোস্তাফিজের জোড়া আঘাত। রহমত শাহের পর সেদিকুল্লাহকে সাজঘরে পাঠালেন মোস্তাফিজ। প্রথম পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন সেদিকুল্লাহ। মোস্তাফিজের ফুলার লেন্থের বল আঘাত করে সেদিকুল্লাহর সামনের পায়ে। জোরালো আবেদনে সড়া দেন আম্পায়ার। অপর প্রান্তে থাকা হাশমতুল্লাহর সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেননি। অভিষেক ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। একই ওভারের পঞ্চম বলে নতুন ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ফেরান মোস্তাফিজ। শর্ট বলে খোঁচা লেগে যায় উইকেটের পেছনে। শূন্যরানে ফেরেন ওমরজাই। ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লেতে দলটির রান ৪ উইকেটে ৩৬। ক্রিজে হাশমতুল্লাহর সঙ্গী গুলবাদিন।
বোলিংয়ে এসেই মোস্তাফিজের উইকেট: গুরবাজের আউটের পর ক্রিজে আসেন রহমত শাহ। তবে সুবিধা করতে পারছিলেন না তিনি। এক প্রান্তে সেদিকুল্লাহ দারুণ খেললেও রহমত যেন নিজের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। এরপর বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। দলীয় অষ্টম ওভারে প্রথম বোলিং করতে এসে দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে পাঠান রহমত শাহকে। মোস্তাফিজের বল আউট সাইড অফ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল, জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছেন রহমত, ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। খোঁচা লেগে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। বল গ্লাভসবন্দি করতে ভুল করেননি মুশফিক। ৩০ রানে ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ক্রিজে সেদিকুল্লাহর সঙ্গী হাশমতুল্লাহ।
শুরুতেই তাসকিনের শিকার গুরবাজ: ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে উইকেটের দেখা পেলেন তাসকিন আহমেদ। ওভারের পঞ্চম বলে উইকেটের পেছনে খোঁচা দেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ওভারে শরিফুলকে চার হাঁকানো গুরবাজ সাজঘরে ফেরেন ৫ রানে। ক্রিজে সেদুকুল্লাহর সঙ্গী রহমত শাহ।
সেদিকুল্লাহর অভিষেক: ইমার্জিং এশিয়া কাপে দুর্দান্ত খেলে জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন সেদিকুল্লাহ অতল। টি-টোয়েন্টিতে আগেই অভিষেক হয়েছিল তার। মাত্র ২২টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলা এই ক্রিকেটার এবার নাম লেখালেন ওয়ানডেতে। লিস্ট ‘এ’-তে ২৯.১৮ গড়ে করেন ৬৪২ রান। আর ৬ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে করেন মাত্র ৭২ রান।
ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে যারা: আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ফিল্ডিং করবে লাল সবুজের দল। বুধবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় খেলাটি শুরু হবে। সরাসরি দেখা যাবে টি-স্পোটস, নাগরিক টিভিতে। অনলাইনে দেখা যাবে টফিতে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।
আফগানিস্তান একাদশ: সেদিকুল্লাহ অটল, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নায়েব, রশিদ খান, আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফার, নাঙ্গিয়ালাই খারোতি ও ফজল হক ফারুকি।
শান্তর চোখ বহুদূরে
সিরিজ জয়ে চোখ রেখেই মাঠে নামছেন নাজমুল হোসেন শান্ত অ্যান্ড কোম্পানি। তবে অধিনায়ক শান্তর দৃষ্টি আরও দূরে। সামনেই আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। সেই আসরকেই পাখির চোখ করে রেখেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে সেটাই জানালেন শান্ত।
‘(চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে) আমাদের হাতে এখানে তিনটা ম্যাচ, ওয়েস্ট ইন্ডিজে তিনটা। ছয়টা ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছয়টা ম্যাচই আমরা জেতার জন্য খেলবো। এখান থেকে ওই আত্মবিশ্বাসটা নিয়ে যদি আমরা যেতে পারি, তাহলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য সহজ হবে। আর কোন কম্বিনেশনে আমরা খেলতে চাই, ওই ধারণাটাও এই ম্যাচগুলো থেকে হয়ে যাবে।’
জয়ের পাল্লা ভারী বাংলাদেশের
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ-আফগানিস্তান মুখোমুখি হয়েছে ১৬ বার। তাতে ১০ ম্যাচে জয় পেয়েছে শান্তর দল। বাকি ৬ ম্যাচে হাসি হেসেছে আফগানিস্তান। সবশেষ ঘরের মাঠে আফগানদের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারে বাংলাদেশ।