দুই দলই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল। কিন্তু এক দল ধ্বংসস্তূপে সাফল্যের ফুল ফুটিয়েছে। আরেক দল ধ্বংসস্তূপে তলিয়ে গেছে।
শারজাহতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আফগানিস্তান ৭১ রান তুলতে ৫ উইকেট হারায়। সেখান থেকে মোহাম্মদ নবীর বীরত্বপূর্ণ ৮৪ রানের ইনিংসে ২৩৫ রানের পুঁজি পায় আফগানিস্তান। অভিজ্ঞতার দায় মিটিয়ে নবী প্রতি আক্রমণে গিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে দারুণ ব্যাটিং করেছেন।
লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ ভালো জবাব দিচ্ছিল। ২ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১২০ রান তুলেও নেয়। শান্ত ও মিরাজ উইকেটে তখন থিতু ছিলেন। অনেক দিন পর ব্যাটে রান পাওয়া শান্ত অপেক্ষায় ছিলেন ফিফটির। ধীরস্থির মিরাজও এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শান্ত ও মিরাজ নিজেদের মনোযোগ স্থির রাখতে না পেরে আউট হন বাজে শটে। ১২০ থেকে ১৪৩ রানে যেতে বাংলাদেশ হারায় ৮ উইকেট। ২৩ রান তুলতেই অলআউট হয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ৯২ রানের বড় ব্যবধানে।
একটু ধীর গতির উইকেটে বোলাররা রাজত্ব করেছে। দিন শেষে শেষ হাসিটা হেসেছে আফগানিস্তান। তাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ স্পিনার আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফার ২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং নাড়িয়ে দিয়েছেন। রশিদ খান তো ছিলেনই। পেয়েছেন ২ উইকেট।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, ‘আমরা শুরুর ১৫-২০ ওভার ভালো ব্যাটিং করেছি। কিন্তু মধ্য ওভারগুলোতে আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। নবী দারুণ ব্যাটিং করেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে অ্যাটাক করতে পারিনি। উইকেট বোলারদের জন্য সহায়ক ছিল। ওদের শাহীদি ও নবী ভালো ব্যাটিং করে ম্যাচটাকে পক্ষে নিয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ে আমার উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার আরো উইকেটে টিকে থাকার দরকার ছিল।’
গজনফারকে নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘আফগানিস্তান সব সময়ই বৈচিত্র্যপূর্ণ স্পিনার পেয়ে থাকে। গজনফারও সেভাবে তৈরি হয়ে এসেছে। বেশ ভালো বোলিং করেছে। আমাদের প্রস্তুতি ভালো ছিল। কিন্তু দিনটা আমাদের ছিল না। আশা করছি আমরা পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াব।’
তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। শনিবার একই মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডে। সিরিজটা বাঁচাতে পারবে তো বাংলাদেশ?