খেলাধুলা

৬৮ রানের জয়ে সিরিজে সমতা

::সংক্ষিপ্ত স্কোর:: বাংলাদেশ: ২৫২/৭ (৫০ ওভার)  আফগানিস্তান: ১৮৪/১০ (৪৩.৩ ওভারে) ফল: বাংলাদেশ ৬৮ রানে জয়ী।

৬৮ রানের জয়ে সিরিজে সমতা আনলো বাংলাদেশ। ২৫৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে আফগানদের থামিয়ে দিয়েছে ১৮৭ রানে। এক বছর পর দলে ফিরে ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করেন নাসুম। ব্যাট হাতে ২৫ রানের পাশাপাশি বল হাতে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ২ উইকেট করে নেন মিরাজ-মোস্তাফিজ। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন রহমত। ১১ নভেম্বর সিরিজের শেষটি ম্যাচটি দুই দলের জন্য এখন অলিখিত ফাইনাল। 

অলআউট আফগানিস্তান: মোস্তাফিজের কাটারে পরাস্ত রশিদ। ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে মারতে চেয়েছিলেন। বল উঠে যায় উপরে। লং অফ অঞ্চলে দারুণ ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ। ১৬ বলে ১৪ রান করেন রশিদ। মোস্তাফিজের পরের ওভারে আঘাত নাসুমের। এবার তিনি ১ রানে বোল্ড করেন গজনফারকে। তার আউটে ১৮৭ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।

মিরাজের ঘূর্ণিতে এবার সাজঘরে খারোটি, আর বাকি ২ উইকেট: ৪২তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজকে এগিয়ে এসে মারতে চেয়েছিলেন খারোটি। বল ফাঁকি দিয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে। এবার আর ভুল করেননি জাকের। দ্রুত স্ট্যাম্পিং করেন। ১২ বলে ৪ রান করেন খারোটি। ক্রিজে রশিদের সঙ্গী গজনফার। আফগানিস্তানের এখনো প্রয়োজন ৪৮ বলে ৭২ রান।

শরিফুলের পর মিরাজের আঘাত, সাজঘরে নবী: শরিফুলের পর মিরাজের আঘাত। নাইবের পর নবীর বিদায়। মিরাজের ঘূর্ণি জাদুতে বোল্ড হন নবী। বুঝতেই পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ২১ বলে ১৭ রান করেন নবী। তার আউটের পর ক্রিজে আসেন খারোটে। তাকে সঙ্গে নিয়তে এগোচ্ছেন রশিদ। ৪০ ওভার শেষে দলটির রান ৭ উইকেটে ১৭৮। ৬০ বলে প্রয়োজন ৭৫ রান। বাংলাদেশের ৪ উইকেট।

নবী-নাইবের জুটি ভাঙলেন শরিফুল: সুযোগ পেলেই হাঁকাচ্ছেন বাউন্ডারি। আছড়ে ফেলছেন বাউন্ডারির বাইরে। ৬ বলের ব্যবধানে ১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর এবার চোখ-রাঙানি দিচ্ছিল নবী-নাইবের জুটি। অবশেষে শরিফুল ভাঙেন দুজনের এই জুটি। শরিফুলকে ড্রাইভ করতে গিয়ে নাইব ধরা পড়েন কাভারে হৃদয়ের হাতে। নাইবের আউটে ভাঙে ৪১ বলে ৪৪ রানের জুটি। ৪টি চার ও ১টি ছয়ের মারে ২৬ রান করেন নাইব। ক্রিজে নবীর সঙ্গী রশিদ। জয়ের জন্য আফগানদের প্রয়োজন ৭৮ বলে ৯০ রান। আর বাংলাদেশের ৪ উইকেট।

মোস্তাফিজের পর নাসুমের ঘূর্ণিজাদু, ম্যাচে ফিরলো বাংলাদেশ:  ২৯তম ওভারের শেষ বলে হাশমতুল্লাহকে সাজঘরে পাঠান মোস্তাফিজ। শর্ট বলে পুল করেন হাশমতুল্লাহ, বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন শরিফুলের হাতে। ১৭ রানে হাশমতুল্লাহর আউটে ভাঙে ৪৮ রানের জুটি। পরের ওভারে আঘাত নাসুমের। হাশমতুল্লাহর আউটের পর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই ফেরেন আজমতুল্লাহ। গোল্ডেন ডাক। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা নাসুমের ড্রিফটে পরাস্ত হন আজমতুল্লাহ। সরাসরি বোল্ড। টানা দুই ম্যাচে শূন্যরানে আউট হন এই আফগান ব্যাটার। একই ওভারে রানআউট হন রহমত। নতুন ব্যাটার নাইব ড্রাইভ করে দৌড় দেন। অপর প্রান্ত থেকে রহমতও যখন দৌড় শুরু করেন তখন নাইব আবার ফেরেন ব্যাটিং প্রান্তে। দুজনই যখন একই প্রান্ত তখন উইকেটরক্ষক জাকের বল পাঠান বোলিং প্রান্তে। বাংলাদেশের হুমকি হয়ে দাঁড়ানো রহমত ফেরেন ৫২ রানে। ক্রিজে নাইবের সঙ্গী নবী।

শতরান পেরিয়ে এগোচ্ছে আফগানিস্তান: নাসুম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন। এরপর আবার জুটি গড়েছেন রহমত-হাশমতুল্লাহ। রহমতকে আউটের সুযোগ আবার হাতছাড়া করেন জাকের। এবার মিস করেন স্ট্যাম্পিং। ২৪.৫ ওভারে দলটি শতরান পার করে। দুজনের জুটি থেকে ইতিমধ্যে এসেছে ৩৮ রান। রহমত ৪৪ ও হাশমতুল্লাহ ১৬ রানে ব্যাট করছেন।

নাসুমের ঘূর্ণি মিরাজের দারুণ ক্যাচে বাংলাদেশের স্বস্তি: বোলিংয়ে এসেই নাসুমের উইকেট! লেন্থ বলে সুইপ করেন সেদিকুল্লাহ, শর্ট ফাইন লেগে দাঁড়ানো মিরাজ লাফিয়ে উঠে বল তালুবন্দি করেন। ৩৯ রানে সেদিকুল্লাহর আউটে ভাঙে ফিফটির জুটি। প্রথম উইকেটের পতনের পর এই রহমত-সেদিকুল্লাহ জুটি ভোগাচ্ছিল বাংলাদেশকে। ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান। নাসুম-মিরাজে অবশেষে ফিরলো স্বস্তি। ক্রিজে রহমতের সঙ্গী হাশমতুল্লাহ।

জীবন পেলেন রহমত, আফগানদের প্রতিরোধ: প্রথম পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভার। মিরাজের ঘূর্ণিতে খোঁচা দিয়ে বসেন রহমত। কিন্তু তালুবন্দি করতে পারলেন না জাকের আলী। ১১ রানে জীবন পান এই ডানহাতি ব্যাটার। গুরবাজ ফেরার পর সেদিকুল্লাহর সঙ্গী হন রহমত। দুজনে প্রতিরোধ গড়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দলকে। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে দলটির রান ১ উইকেটে ৪২। সেদিকুল্লাহ ২২ ও রহমত ১১ রানে ব্যাট করছেন।

শুরুতেই গুরবাজকে ফেরালেন তাসকিন: ইনিংসের চতুর্থ ওভার। তৃতীয় বল। তাসকিনের লেন্থ বল বেরিয়ে যাচ্ছিল আউটসাইড অফ দিয়ে। ব্যাট চালিয়ে বসেন গুরবাজ। কানায় লেগে ওয়াইড স্লিপ দিয়ে বল বেরিয়ে যাচ্ছিল। দারুণ ক্যাচে সৌম্য তালুবন্দি করেন। ৮ বলে ২ রান করেন গুরবাজ। ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ক্রিজে সেদিকুল্লাহর সঙ্গী রহমত শাহ।

শান্তর ফিফটি আর জাকের-নাসুমে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল বাংলাদেশ: ইনিংসের শেষ বল। ইয়র্কার ছুড়লেন ফারুকি। লং অফে বল আছড়ে ফেললেন জাকের আলী! তাতে বাংলাদেশের স্কোর পার হয় আড়াই’শ। ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫২। জাকের ২৭ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইনিংসে ছয়ের মার ছিল ৩টি। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে অভিষেকে ৩টি ছয়ের মারের কীর্তি গড়েন জাকের। তার সঙ্গী তাসকিন অপরাজিত থাকেন ২ রানে।

খারোটির এক ওভারে শান্ত-মাহমুদউল্লাহ ফিরলে আবারও দ্রুত অলআউটের শঙ্কা জাগে। সেটি হতে দেননি জাকের-নাসুম। দুজনে ৪১ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়েন। ২৫ রানে নাসুমের আউটে ভাঙে এই জুটি। নাসুম ফিরলেও জাকের ইনিংস শেষ করে আসেন।

এর আগে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ভিত গড়ে দেন অধিনায়ক শান্ত। এ ছাড়া সৌম্য ৩৫ ও মিরাজ-তানজীদ সমান ২২ রান করে আউট হন। খারোটি সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন রশিদ-গজনফার।

২৪ বলে ২৫ করে আউট নাসুম: দুই ছক্কা, এক চার। ২৪ বলে ২৫ রান। শান্ত-মাহমুদউল্লাহর আউটের পর নাসুমের এই ইনিংস বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। ক্যারম বলে নাসুমকে পরাস্ত করেন গজনফার। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী তাসকিন। ৪৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ২৩০ রান।

জাকের-নাসুমে দুইশ পেরিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ: খারোটের এক ওভারে শান্ত-মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। অভিষিক্ত ব্যাটার জাকের আর বছর পর দলে ফেরা নাসুম দ্রুত চাপ সামলে প্রতিরোধ গড়েন। ৪৪.৪ ওভারে বাংলাদেশ দুইশ পার করে। ৪৭তম ওভারে ফারুকিকে টানা দুটি ছয় হাঁকান। ওভারের শেষ বলে নাসুম হাঁকান একটি চার। এর আগে একটি ছয়ও মেরেছেন তিনি।  দুজনের জুটি থেকে ৩৭ বলে এখন পর্যন্ত আসে ৩৯ রান। জাকের ১৯ ও নাসুম ২৫ রানে ব্যাট করছেন।

শান্ত-মাহমুদউল্লাহকে এক ওভারে হারিয়ে প্রবল চাপে বাংলাদেশ: বাঁহাতি স্পিনার খারোটেকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে সজোরে হাঁকিয়েছিলেন শান্ত। টাইমিংয়ে গড়বড়। লং অফে ধরা পড়েন নবীর হাতে। শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৭৬ রান। শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সবশেষ ফিফটি দেখেছিল ১৯৯০ সালে, শান্তর জন্মেরও ৮ বছর আগে। 

এই ফিফটিকে রূপ দিতে পারতেন সেঞ্চুরিতে, কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। ১১৯ বলে ৬টি চার ও ১টি ছয়ে ইনিংসটি সাজান শান্ত। তার আউটের দুই বল পরেই সাজঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বোলারও একই; খারোটে। 

ছক্কা উড়াতে গিয়ে ধরা পড়েন লং অফে, আজমতুল্লাহর হাতে। ৯ বলে ৩ রান করেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। মাহমুদউল্লাহ আবারো ব্যর্থ হয়েছেন। শেষ চার ওয়ানডে ইনিংসে তার রান যথাক্রমে ০, ১, ২ এবং ৩। 

এক ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ১৮৪ রানে হারায় ষষ্ঠ উইকেট। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটার জাকের আলী-নাসুম। ৪৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯২।

ছক্কা উড়াতে গিয়ে আউট তাওহীদ

বাঁহাতি স্পিনার খারোটের স্লোয়ারে সুইপে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু ঠিকঠাক টাইমিং হয়নি। বল উড়ে যায় আকাশে। ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ নেন সেদিকুল্লাজ অটল। তাওহীদের আউটে ১৭৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৫ রান।

রশিদের ঘূর্ণিতে বোল্ড মিরাজ

রশিদের গুগলি বুঝতেই পারেননি মিরাজ। বল পিচ করে ঢুকে যাচ্ছে স্ট্যাম্পে। মিরাজের ব্যাট তখন বলের নাগালের বাইরে। জায়গা করে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চেয়ে দেখা ছাড়া মিরাজের কোনো উপায় ছিল না। বল হালকা টার্ন করে আঘাত করে স্ট্যাম্পে। ২২ রানে আউট হন মিরাজ। ১৫২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তার আউটে ভাঙে ৫৩ রানের জুটি। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী নতুন ব্যাটার হৃদয়।

রিভিউতে শান্তর নতুন জীবন, জুটির ফিফটি:

রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে ক্যারম বল ছুঁড়েন গজনফার। ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন শান্ত, বল লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন শান্ত। 

রিপ্লেতে দেখা যায় বল লেগ স্ট্যাম্প মিস করে চলে যাচ্ছে বাইরে। ৫৫ রানে জীবন পান শান্ত। ৩২.১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৪৯। ৫৯ রানে শান্ত ও ২১ রানে মিরাজ ব্যাট করছেন। তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটি ইতিমধ্যে পার করেছে ফিফটি। ৭৯ বলে জুটির ফিফটি রান হয়।

শান্তর ফিফটি, এগোচ্ছে বাংলাদেশ

মোহাম্মদ নবীকে মিড অনে খেলে ভোঁ-দৌড়। সিঙ্গেল নিয়ে ৭৫ বলে ফিফটির দেখা পান নাজমুল হোসেন শান্ত। ১টি ছয় ও ৪টি চারের মারে সাজানো ছিল ফিফটির ইনিংস। এটি তার ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি। সৌম্যর বিদায়ের পর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছেন শান্ত। দুজনের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত এসেছে ৪৩ রান। মিরাজ ব্যাট করছেন ২১ রানে। ৩০ ওভার শেষে ২ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৪২।

ফিরলেন সৌম্য, শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ:

প্রথম ম্যাচে থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় ম্যাচেও একই। ৪৯ বলে ৩৫ রান করে থামলেন দারুণ খেলতে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটার। রশিদ খানের বল স্কিড করে আঘাত করে সৌম্যর পায়ে, জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউর পথে না গিয়ে সোজা পথ ধরেন ড্রেসিং রুমের। যদিও রিভিউ নিলে বেঁচে যেতে পারতেন তিনি। তার আউটে ভাঙে ৭১ রানের দারুণ জুটি। সৌম্যর আউটের পরপরই বাংলাদেশ দলীয় ১০০ পেরোয়, ১৯ ওভারে। ক্রিজে শান্তর সঙ্গী মিরাজ।

ছক্কা মেরে বল রাস্তায় ফেললেন সৌম্য: ১৪তম ওভারের তৃতীয় বল। আজমতুল্লাহ ছুড়লেন শট বল। জায়গায় দাঁড়িয়ে পুল করলেন সৌম্য। বল চলে গেল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইরে, রাস্তায়! দুটি করে চার-ছয়ে ৪০ বলে ৩২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন সৌম্য। তার সঙ্গে শান্ত অপরাজিত আছেন ২৪ রানে। দুজনের জুটির ফিফটি হয় ৬১ বলে। ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮৪।

ঘুরে দাঁড়িয়ে সৌম্য-শান্তর প্রতিরোধ: দলীয় ২৮ রানে ওপেনার তানজীদকে হারায় বাংলাদেশ। ক্রিজে সৌম্যর সঙ্গী হন অধিনায়ক শান্ত। দুজনে প্রতিরোধ গড়ে এগোতে থাকেন ধীরে ধীরে। মারার বল পেলেই হাতছাড়া করছেন না সুযোগ। দুজনের ব্যাটে ভর করে দলীয় ফিফটি হয় ৮.২ ওভারে। এই (নবম) ওভারে নবীকে একটি করে ছয়-চার হাঁকিয়ে ১০ রান নেন সৌম্য। প্রথম পাওয়ার প্লেতে আসে ১ উইকেটে ৫৯ রান। সৌম্য ১৮ ও শান্ত ১৩ রানে ব্যাট করছেন।

ঝড়ো শুরুর পর সাজঘরে তানজীদ

তানজীদ হাসান আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফারের ফুলটস পেয়ে মিড অন দিয়ে আছড়ে ফেললেন বাউন্ডারির বাইরে। পরের বলেও একই শট খেলতে গিয়ে কাটা পড়লেন। ঝড়ো শুরুর পর বাংলাদেশ ইনিংসে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে। ২৮ রানে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায়। মিড অনে দারুণ ক্যাচ নেন নবী। তার মধ্যে ২২ রানই তানজীদের। ৩ চার ও ১ ছয়ে ১৭ বলে এই রান করেন তানজীদ। উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত।

১ বছর পর নাসুম: বাংলাদেশ একাদশে দুই পরিবর্তন এসেছে। মুশফিকুর রহিমের পরিবর্তে অভিষেক হচ্ছে জাকের আলীর। রিশাদ হোসেনের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন নাসুম আহমেদ। ১ বছর পর জাতীয় দলের যে কোনো সংস্করণে এই প্রথম খেলতে নেমেছেন। সবশেষ খেলেছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এরপর এই স্পিনার কোনো সংস্করণের বিবেচিত হননি।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।

আফগানিস্তান একাদশ: সেদিকুল্লাহ অটল, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), রহমত শাহ, হাশমতুল্লাহ শাহিদি, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নায়েব, রশিদ খান, আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফার, নাঙ্গিয়ালাই খারোতি ও ফজল হক ফারুকি।

১৪৯তম ক্রিকেটার হিসেবে জাকের আলীর অভিষেক  প্রথম ম্যাচে ইনজুরিতে ছিটকে যান আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তার পরিবর্তে অভিষেক হচ্ছে জাকের আলী অনিকের। টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের পর এবার ওয়ানডে ক্যাপ পেয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তাকে ক্যাপ পরিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ঘরোয়া ক্রিকেটে লম্বা সময় ধরে ধারাবাহিক থাকার পুরস্কার পেলেন তিন সংস্করণের দলে ডাক পেয়ে। লিস্ট এ ক্রিকেটে জাকের ৯৭.৭৫ গড়ে ৯৩ ম্যাচে করেছেন ২ হাজার ১৮১ রান। সেঞ্চুরি দুটি ও হাফসেঞ্চুরি ১২টি। তিনি বাংলাদেশের ১৪৯তম ক্রিকেটার। সবশেষ অভিষেক হয়েছে রিশাদ হোসেনের। 

চোখ শুধু সমতায়  বাংলাদেশের চোখ এখন শুধু সিরিজে সমতা আনায়। হারলেই সিরিজ চলে যাবে আফগানদের পকেটে, বাঁচামরার এমন ম্যাচে সমতায় চোখ রাখা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই লাল সবুজের দলের সামনে। আগের দিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মিরাজও থাকতে চাইলেন সামনের দিকে, ‘দেখুন, যেহেতু আমাদের সুযোগ আছে। একটা ম্যাচ হেরেছি, এখনও দুইটা ম্যাচ আছে। সুতরাং আমরা দুইটা ম্যাচ চিন্তা না করে পরবর্তী ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আমরা একটু ব্যাকফুটে আছি।’

ভালো মোমেন্টামের আশা ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে বাংলাদেশ আছে একটি ভালো মেমেন্টামের আশায়। মিরাজের ভাষায়, ‘আমরা প্রস্তুতিটা ওইভাবে নিচ্ছি, আশা করি যেহেতু অনেকদিন পর এই মাঠে খেলছি। ভালো মোমেন্টাম কিভাবে পেতে পারি সেটার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ 

প্রথম ওয়ানডেতে বেহাল দশা  বল হাতে শুরুটা হয়েছিল ভালো। ৭১ রানের আফগান শিবির হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশকে ছুঁড়ে দেয় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়ে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের শুরুটাও হয় ভালো। কিন্তু ধরে রাখতে পারেনি মোমেন্টাম। এক পর্যায়ে ২৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে শান্তর দল। ৯২ রানে হেরে সিরিজে পিছিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।