মাত্রই নাজমুল হোসেন শান্ত ডাউন দ্য উইকেটে এসে বল উড়াতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন সীমানায়। উইকেটে তখন একমাত্র থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান শান্ত। রান করেছেন ৭৬। তার বিদায়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন।
ক্রিজে তখন ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ওপরে প্রত্যাশার অনেক চাপ। ২৩৪তম ওয়ানডে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ অভিজ্ঞতার দায় শোধ করবেন এমনটাই চাওয়া ছিল। কিন্তু দুই বল যেতে না যেতে-ই সব ওলটপালট। মাহমুদউল্লাহ শান্তর মতোই শট খেললেন। বাঁহাতি স্পিনার খারোটির বল এগিয়ে এসে উড়াতে চাইলেন।
টাইমিংয়ে গড়বড়। বল হাওয়ায় ভেসে সোজা চলে গেল ফিল্ডার আজমতউল্লাহর হাতে। আগের তিন ওয়ানডে ইনিংসে ০, ১ ও ২ রানের পর এবার মাহমুদউল্লাহ আউট হলেন ৩ রানে। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে এ কেমন উন্নতির ধারাবাহিকতার চিত্র! পারফরম্যান্সের সূচকের ঊর্ধ্বগামিতার এ কেমন নিদর্শন? কিন্তু এমনটা কি হওয়ার কথা ছিল?
দলে সাকিব নেই। মুশফিক প্রথম ম্যাচের পর ছিটকে গেছেন। দলে অভিজ্ঞ বলতে একমাত্র মাহমুদউল্লাহ। অথচ ঊনচল্লিশ ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকা এই ক্রিকেটার ৯ বলে ৩ রান করে যেভাবে আউট হলেন তাতে তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।
খেলা শুরুর আগে মাহমুদউল্লাহর হাত থেকে ওয়ানডে অভিষেক ক্যাপ পেয়েছেন জাকের আলী অনিক। তার ব্যাটেই মান রক্ষা হয় বাংলাদেশের। ২৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রান করে নিজের অভিষেক রাঙিয়েছেন জাকের। তাতে বাংলাদেশের রান হয়েছে ৭ উইকেটে ২৫২। ব্যবহৃত ধীর গতির উইকেটে এই রান যথেষ্ট না হলেও লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত। মাহমুদউল্লাহর ধারাবাহিক অফফর্ম, জাকেরের নতুন পথচলার দিনটি কি রাঙাতে পারবে বাংলাদেশ?