এমন দুঃসময় পেপ গার্দিওলার কোচিংয়ে খুব কমই এসেছে। টানা তিন ম্যাচে হারের ক্ষত খুব একটা নেই তার ক্যারিয়ারে। যেটা দেখতে হলো এবার। চলতি মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচ হারলো ম্যানচেস্টার সিটি। সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে তাদেরকে ২-১ গোলে হারিয়ে হ্যাটট্রিক পরাজয়ের স্বাদ দিলো ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ব্রাইটনের মাঠে শুরুতেই আরালিং হালান্ডের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয় ব্রাইটন। দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল হজম করে তারা। গোল দুটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পেদ্রো ও ডেনমার্কের মিডফিল্ডার ম্যাট ও’রাইলি।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে সিটি। তারই ধারাবাহিকতায় ২৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। হালান্ডকে লক্ষ্য করে দারুণ এক পাস দেন মাতেও কোভাচিচ। শট নেন হালান্ড, গোলরক্ষক বলের গতি কমালেও আটকাতে পারেননি। এক ডিফেন্ডার আটকাতে গেলেও ক্ষীপ্র গতিতে এগিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোলটি করেন নরওয়ের তারকা।
তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। তবে এবার ফিল ফোডেনের পাস ধরে হালান্ডের কোনাকুনি শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল আসেনি। এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ব্রাইটন। ৫২তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেলেও তাদেরকে হতাশ করেন এডারসন। ধীরে ধীরে নিজেদের পুরোই যেন হারিয়ে ফেলে সিটি। ক্রমেই আরও আক্রমণাত্মক হতে থাকে ব্রাইটন। অবশেষে ৭৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা।
বক্সে সতীর্থের পাস পেয়ে শট নিতে দেরি করেন ওয়েলবেক, বল ক্লিয়ার করার সুযোগ পেয়েও পারেনি সিটির খেলোয়াড়রা। ছুটে গিয়ে জটলার মধ্যে থেকে নিচু শটে স্কোরলাইন ১-১ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড পেদ্রো। গোল পেয়ে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে তারা।
পাঁচ মিনিট পর ৮৩তম মিনিটে সিটির কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন ও’রাইলি। সতীর্থের পাস বক্সে ধরে, দ্বিতীয় ছোঁয়ায় বাঁ পায়ের শটে আগুয়ান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ডেনিশ মিডফিল্ডার।
এই হারের পর ১১ ম্যাচে সাত জয় ও দুই ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে সিটি। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে ব্রাইটন।