বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে মেহেদী হাসান মিরাজকে ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছিল। জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটে নিয়মিত ক্রিকেটার হলেও নেতৃত্বে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন।
যুব ক্রিকেটে তার সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত এখন জাতীয় দলের দায়িত্বে। মিরাজ তার ডেপুটি। আজ শান্তর অনুপস্থিতিতে মিরাজ নেমে গেলেন টস করতে। কুঁচকির চোটে শান্ত শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে খেলতে পারছেন না। তার পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেপুটি মিরাজ।
বাংলাদেশের ত্রয়োদশ ক্রিকেটার হিসেবে মিরাজ আজ একশতম ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন। এমন মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে তার নেতৃত্বের অভিষেক হলো। নিশ্চিতভাবেই দিনটি রাঙাতে চাইবেন ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার। তার মাইলফলক ছোঁয়া দিনটি বাংলাদেশ রাঙাতে পারলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আরেকটি সিরিজও নিশ্চিত হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
যুব ক্রিকেটে লাইমলাইটে মিরাজই ছিলেন এগিয়ে। শান্ত একটু পিছিয়ে। বয়সভিত্তিক দলে, অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭, ১৯ মিরাজের নেতৃত্বেই শান্ত খেলেছেন। ডেপুটিও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যুব ক্রিকেট পেরিয়ে মিরাজই দুজনের মধ্যে আগে জাতীয় দলে আসেন। শান্ত যোগ দেন পরে। মিরাজ শুরু থেকে জাতীয় দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার হয়ে ওঠেন। শান্ত পায়ের নিজের জমিন খুঁজতে অনেক সময় নেন। নাটকীয়তার সঙ্গে ছিল উঠা-নামার অধ্যায়। কঠিন পথ পেরিয়ে শান্ত এখন জাতীয় দলে তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক।
শান্ত অধিনায়ক হলেও নিজের ভেতরে মিরাজকেই অধিনায়ক মনে করেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে বিসিবির হোম অব ক্রিকেট পডকাস্টে সেই গল্প শুনিয়েছিলেন শান্ত, ‘এখানে মজার ব্যাপার হলো যে, আমরা অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে একসাথে। অনূর্ধ্ব-১৫ দল থেকে মিরাজ কিন্তু আমার অধিনায়ক। আমি এখনো এটা বিশ্বাস করি ও-ই আমার অধিনায়ক। এটা ও জানে।’
‘জিনিসটা হলো, যখন আমরা খেলেছি একসাথে বিষয়টা এমন ছিল না যে ও অধিনায়ক বা আমি অধিনায়ক। ওর কাছে কখনোই মনে হয়নি যে আমি অধিনায়ক। আবার এখন আমি অধিনায়ক, ও নিজেও হয়তো মনে করে না যে আমি অধিনায়ক। ওর যখন মনে হয় যে এটা দলের জন্য ভালো হবে ও আমার কাছে আসে। ও যখন অধিনায়ক ছিল তখন আমি গিয়ে দেখা যেত একটা ফিডব্যাক দিতাম। বোঝাপড়াটা এতো ভালো।’ - যোগ করেন শান্ত।