স্কোরবোর্ডে স্বল্প পুঁজি। মাত্র ২৪৪ রান। তবুও লড়াইয়ের তীব্র জেদ। কিন্তু পরিকল্পনায় ছিল ঘাটতি। তাতেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হার। ৫ উইকেটে শেষ ওয়ানডে হেরে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হারল। ২০২৩ সালে শেষ ঘরের মাঠেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ।
আগের দুই ম্যাচে তাসকিন আহমেদ শুরুতেই ফিরিয়েছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। সেখানে গতকাল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দেওয়া ‘সুইসাইডাল’ সিদ্ধান্ত নয়তো আর কী? সেই গুরবাজ সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছেন। শুধু গুরবাজ নয়, আজমতউল্লাহ ওমারজাই ৭০ রানের ইনিংস খেলে গড়ে দিয়েছেন ব্যবধান। এর আগে বল হাতে ৪ উইকেট পেয়েছেন তিনি।
দুজন ৩ উইকেটে ৮৪ রান থেকে আফগানিস্তানের রানকে নিয়ে যায় ১৮৪ রানে। তাতে জয় চলে আসে নাগালে। সেঞ্চুরি পেয়ে গুরবাজ ফিরলেও আজমতউল্লাহ জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। শারজা স্টেডিয়ামে উইনিং শট খেলে তার গগণবিদারী চিৎকার আফগান সমর্থকদের উল্লাস দ্বিগুন করে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ম্যাচ হারের পেছনে এই জুটি ভাঙতে না পারার কারণকেই সামনে এনেছেন। মিরাজ পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বলেছেন, ‘আজ কিছু শিশির পড়েছিল। এজন্য সহজেই ব্যাটে বল আসছিল। তাদেরকে ক্রেডিট দিতে হবে। বেশ ভালো খেলেছে। বিশেষ করে গুরবাজ ও ওমরজাই। আমরা মধ্যভাগে (মিডল ওভার) উইকেট নিতে পারিনি।’
নিজের শততম ম্যাচে প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব করেছেন মিরাজ। অধিনায়কত্বের কাজটা সহজ ছিল না তার জন্য। নিজে যখন ব্যাটিংয়ে যান দল ছিল চাপে। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ১৪৫ রানের জুটি গড়ে সেই চাপ সামলে নিলেও দলকে শক্তিশালী পুঁজি এনে দিতে পারেননি। মিরাজ ১১৯ বলে ৬৬ ও মাহমুদউল্লাহ ৯৮ বলে ৯৮ রান করেন। তবুও যেটুকু (পুঁজি) হয়েছিল তাতে আশাবাদী ছিলেন মিরাজ, ‘কাজটা কঠিন ছিল। ছেলেরা ভালো খেলেছে। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ ও আমার জুটি। আমরা শেষ দুই ম্যাচে দেখেছি উইকেটে বল ঘুরছিল। এজন্য আমরা আগে ব্যাটিং করতে চেয়েছি।’