লম্বা ক্যারিয়ারে অনেকটা সময় শারজা স্টেডিয়ামে কাটিয়েছেন আফগানিস্তান ক্রিকেটের প্রথম পোস্টারবয় মোহাম্মদ নবী। নিজেদের মাটিতে ক্রিকেট আয়োজন করতে না পারায় শুরুর দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ছিল তাদের হোম ভেন্যু। শারজা তাদের মধ্যে অন্যতম।
সেই শারজাতে গতকাল শেষ ম্যাচ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন নবী। দিনটাকে রাঙিয়েছেন দারুণ এক জয়ে। ব্যাট-বলে সমানতালে অবদান রেখেছেন। দলকে জিতিয়েছেন ওয়ানডে সিরিজ। ২-১ ব্যবধানে জয় পাওয়া সিরিজে নবী হয়েছেন সিরিজ সেরা। ব্যাটিংয়ে ১৩৫ রান ও বোলিংয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার।
চল্লিশ ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকা এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আগামী বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে অবসরে যাবেন এমনটাই আভাস দিলেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে নবী বলেছেন, ‘শেষ বিশ্বকাপের পরপরই আমার অবসরের ভাবনা চলে আসে। কিন্তু আমরা যখন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য কোয়ালিফাই করি, অনুভব করতে শুরু করি আমি হয়তো একটি সুযোগ নিতে পারি। যদি খেলতে পারি দারুণ কিছু হবে।’
শারজাতে ৩১ ওয়ানডে ও ২৫ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন নবী। ওয়ানডেতে ৩৮ উইকেটের সঙ্গে রান করেছেন ৭১০। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। পরের ওয়ানডেতে করেন ১৭ রান। শেষ ম্যাচে অপরাজিত ৩৪ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। নিজের ব্যাটিং নিয়ে নবী বলেছেন, ‘শেষ মৌসুমে আমি ব্যাটিংয়ে তেমন ভালো কিছু করতে পারিনি। এই সিরিজের আগে আমি ব্যাটিং নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমার লক্ষ্য ছিল এই সিরিজে ব্যাট হাতে পারফর্ম করা। দলের হয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি।’
এছাড়া দলে তার ভূমিকা নিয়েও খোলামেলা কথা বলেছেন, ‘আমি ছোট ছোট অবদান রাখার চেষ্টা করেছি। তরুণদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেছি। বেশিরভাগ সময় আমি গজানফার, কারোটে ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কিভাবে বল করতে পারে পরিস্থিতি অনুযায়ী। যা ওদেরকে সাহায্য করেছে।’
নবী ও ওমরজাইয়ের দারুণ জুটিতে আফগানিস্তান সহজেই জয় তুলে নেয়। দুজন ৪৮ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে কাজটা সহজ করে দেয় স্বাগতিকদের জন্য। নিজেদের জুটি নিয়ে নবী বলেছেন, ‘আমি ওমরজাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। শুধু এক রান নিয়েই কাজ হয়ে যেত। উইকেট সহজ হয়ে গিয়েছিল। ব্যাটে বল আসছিল। আমি কেবল তাকে বল দেখে খেলার পরামর্শ দিয়েছিলাম। স্ট্রেইট খেলতে বলেছিলাম। বাউন্ডারি এমনিতেই আসবে।’