গত ৬ মে’র পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে নেই জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে মাঠে ফেরার কথা থাকলেও জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। এজন্য নিয়মিত মিরপুর শের-ই-বাংলায় অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
শুরুতে কয়েকদিন ইনডোরে ব্যাটিং করেছেন তামিম। এখন নিয়মিত মিরপুরের সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং ঝালিয়ে নিচ্ছেন। তবে ফিটনেস নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে তাকে কাজ করতে দেখা যায়নি। মাঠে ফিরতে হলে তাকে ফিটনেস টেস্ট পেরিয়ে আসতে হবে, এমনটাই জানিয়েছেন জাতীয় দলের নির্বাচক হান্নান সরকার।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের লংগার ভার্সনের খেলা এখন চলছে। লাল বলের চারদিনের এই প্রতিযোগিতা শেষ হবে ৩ ডিসেম্বর। ৮ দল নিয়ে ৬ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি ভার্সন। এরপর বিপিএল শুরু হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে।
বিপিএলের গত আসরের চ্যাম্পিয়নস তামিমের দল ফরচুন বরিশাল। এবারও ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলবেন তিনি। এর আগে নিজের বিভাগীয় দল চট্টগ্রামের হয়ে খেলবেন জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি। হান্নান সরকার বলেছেন, ‘তামিম খেললে স্বাভাবিকভাবেই চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে খেলবে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সে খেলবে। কয়টা ম্যাচ খেলবে, কখন খেলবে- এই বিষয়গুলোর জন্য আমাদের হাতে আরও সময় আছে। এর আগে আমরা আলোচনা করব। তবে হ্যাঁ, এনসিএল টি-টোয়েন্টি খেলার ব্যাপারে সে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’
ফিটনেস টেস্ট নিয়ে হান্নান যোগ করেন, ‘ফিটনেস টেস্ট সবাইকে দিতে হবে। এটা আমাদের খুবই মৌলিক মানদণ্ড। ফিটনেস টেস্টে সে অবতীর্ণ হবে। একটা লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। সেটা স্পর্শ করতে হবে। কিছু কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে আমরা ফিটনেস টেস্টের মানদণ্ড স্পর্শ না করলেও তাদের সুযোগ দিয়েছি। তারা সিনিয়র ক্রিকেটার দেখে এমনটা হয়েছে। জাতীয় লিগ এখনও খেলছে। তামিমকেও এই মানদণ্ডের ভেতর দিয়ে আসতে হবে।’
তামিমের ব্যাপারে নির্বাচকদের পরিস্কার ধারনা থাকলেও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে কোনো তথ্যই নেই তাদের কাছে। শুধু জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি নয়, বিপিএলও সাকিব থাকতে পারবেন কিনা নিশ্চিত করতে পারছে না কেউ। হান্নান বলেছেন, ‘সাকিবের ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আমি কিছুই জানি না। এই ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’