লক্ষ্যের পথে নিউ জিল্যান্ড ছুটছিল দারুণভাবে। শ্রীলঙ্কা খোঁজে ছিল উইকেটের। ডাম্বুলার দর্শকরা ছিল চিন্তিত। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ এমনিতে-ই মজা নষ্ট করেছিল। কিন্তু নিউ জিল্যান্ড মাঝপথে যে কাণ্ড ঘটাল তাতে আবার রোমাঞ্চ ছড়াল।
৮৮ রানে বিনা উইকেট থেকে ১১০ রানে যেতে-ই তাদের পাঁচ ব্যাটসম্যান সাজঘরে। ২২ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে নিউ জিল্যান্ড ম্যাচটা শ্রীলঙ্কাকে উপহার দিয়ে আসল। ৪৫ রানের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে তারা।
এর আগে কুশল মেন্ডিসের ১২৭ বলে ১৪৩ এবং অভিশকা ফার্নান্দোর ১১৫ বলে ১০০ রানে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে ৩২৪ রান তোলে। দুজন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২০৬ রান জমা করেন। শ্রীলঙ্কা ইনিংস শেষ করতে পারেনি ভারী বর্ষণের কারণে। যা নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসেও প্রভাব ফেলে। ম্যাচ নেমে আসে ২৭ ওভারে।
নিউ জিল্যান্ড লক্ষ্য পায় ২২১ রানের। ভালো শুরুর পর হঠাৎ ছন্দপতনে পথ ভোলে কিউইরা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৭৫ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনে তারা।
ম্যাচের নায়ক ঝড়ো সেঞ্চুরিয়ান কুশল মেন্ডিস। ১৭ চার ও ২ ছক্কায় ১১১.৭১ স্ট্রাইক রেটে ১৪৩ রানের ইনিংসটি সাজান কুশল। যা তার ক্যারিয়ারের এগারতম সেঞ্চুরি। আভিশকা তৃতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরির ইনিংসটি খেলেন ৯ চার ও ২ ছক্কায়। ইনিংসের শুরুতে পাথুম নিশাঙ্কা (১২) দ্রুত আউট হলে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়েন কুশল ও আভিশকা। তাদের সাজঘরে ফেরার পর দলের স্কোর বড় করেন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ২৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪০ রান করেন লঙ্কান অধিনায়ক।
বৃষ্টির বাগড়ার পর উইল ইয়ং ও টিম রবিনসন ৮৮ রানের জুটি গড়েন ১৩.২ ওভারে। তখন মনে হচ্ছিল লক্ষ্য অনায়েসে ছুঁয়ে ফেলবে অতিথিরা। কিন্তু থিকসানার ঘূর্ণিতে পথ ভোলে তারা। ইয়ং সর্বোচ্চ ৪৮ রান করে থিকসানার বলে বোল্ড হন। রবিনসন স্টাম্পড হন ৩৫ রানে। দুই থিতু হওয়া ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে নিউ জিল্যান্ড বিপদে পড়ে। এরপর নিকোলস (৬), চ্যাম্পমান (২), ফিলিপস (৯) দ্রুত আউট হন।
সেখান থেকে আর উদ্ধার হতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। ব্রেসওয়েল ৩৪ রান করে শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনেন। বল হাতে মাদুশাঙ্কা ৩৯ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন থিকসানা ও আসালাঙ্কা।
১৭ নভেম্বর পাল্লাকেল্লেতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।