খেলাধুলা

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু, ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই শেষ সাউদির

কিশোর বয়সে ১৭ বছর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই টেস্টে অভিষেক হয়েছিল টিম সাউদির। এবার সেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেই টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন তিনি।

আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সাউদি জানিয়েছেন, ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ৩-০ ব্যবধানে জয়ের সিরিজে অবসর নেওয়ার ক্ষেত্রে মনস্থির করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি সিদ্ধান্ত পাল্টান। কোচ গ্যারি স্টিডের সঙ্গে কথা বলে তার মনে হয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু করেছিলাম। তাদের বিপক্ষে খেলেই বিদায় বলি। বর্তমানে ইংল্যান্ড দলের কোচ হিসেবে আছেন তার সাবেক অধিনায়ক ও কাছের বন্ধু ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।

অবসরের বিষয়ে সাউদি বলেছেন, ‘আসলে মানুষ তার সামনে কি আছে সেটা দেখে। গেল বছর ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আর চলতি বছর ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। গেল ১২ মাসই আমাদের টেস্ট ক্রিকেট ছিল। কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি সামনে আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ রয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। যাদের বিপক্ষে আমি আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম। তাদের বিপক্ষেই শেষ করাটা ভালোই মনে হচ্ছে।’

‘আসলে আমি মনে করি নিউ জিল্যান্ডের হয়ে খেলাটাই একটা স্বপ্ন ছিল, যেটা সত্যি হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমার শুরুর সময়টা খুবই বিশেষ ছিল। আজকে আমি এখানে বসে ভাবছিলাম, সবকিছু কতো দ্রুত শেষ হয়ে গেল। এটা একটা অসাধারণ সফর ছিল। যখন আমি নেপিয়ারে শুরু করেছিলাম তখন ভাবিনি ১৭ বছর পরও আমি এখানে বসার সুযোগ পাবো। শৈশবের একটি স্বপ্ন পূরণ করতে পারা ও দেশের প্রতিনিধিত্ব করাটা আমার জন্য সত্যিকার অগ্রাধিকার ছিল।’ যোগ করেন তিনি।

চলতি মাসের শেষ দিকে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হবে নিউ জিল্যান্ডের তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজ। ২৮ নভেম্বর থেকে ০২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্রাইস্টচার্চে প্রথম, ০৬ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় ও ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। অর্থাৎ সাউদি তার টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করবেন তার ঘরের মাঠে। খেলবেন কাছের বন্ধু, পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনের সামনে।

১৭ বছরে সাউদি এ পর্যন্ত ১০৪টি টেস্ট খেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন ৩৮৫টি। তার মধ্যে ১৫ বার নিয়েছেন ৫ উইকেট আর ১৯ বার নিয়েছেন ৪ উইকেট। ইনিংসে তার সেরা বোলিং ফিগার ৬৪ রানে ৭ উইকেট। আর ম্যাচে সেরা বোলিং ফিগার ১০৮ রানে ১০ উইকেট। ব্যাট হাতে করেছেন ২ হাজার ১৮৪ রান। ফিফটি আছে ৭টি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠের এই সিরিজ জিতলে নিউ জিল্যান্ড আরও একবার আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলার পথে এগিয়ে যাবে।