খেলাধুলা

দুইবার ঘুরে দাঁড়িয়েও পাকিস্তানের হার

ম্যাচটি ছিল সিরিজ হার রক্ষার। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নেমে একেবারে খুনে মেজাজে ব্যাটিং শুরু করলো। ৩.২ ওভারেই তুলে ফেললো ৫০ রান। যা তাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে দ্রুততম ফিফটি রান। কিন্তু এরপর তাদের ব্যাটিংয়ের লাগাম টেনে ধরে পাকিস্তান। ২০ বলেই ৫০ রান করা অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে করতে পারে ১৪৭ রান।

টার্গেটটা অবশ্য খুব বড় নয়। কিন্তু তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান ৯.৩ ওভারে ৪৪ রান তুলে ৪ উইকেট হারালো! সেখান থেকে উসমান খান ও ইরফান খানের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। কিন্তু ১৯.৪ ওভারে তারা ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া ১৩ রানের জয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে।

উসমান ৩৮ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রান করেন। যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। আর ইরফান ৪টি চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৭ রান। ১৬টি রান আসে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটায় যেতে পারেননি।

বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার স্পেন্সার জনসন ৪ ওভারে ২৬ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের হার নিশ্চিত করেন। ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা।

তার আগে দারুণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার ঝড়ো ইনিংসের লাগাম টানেন হারিস রউফ, আব্বাস আফ্রিদি ও সুফিয়ান মুকিম। হারিস ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। আব্বাস ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নেন ৩টি। আর সুফিয়ান ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে নেন ২টি। তবে বেধড়ক মার খান নাসিম শাহ ও শাহীন আফ্রিদি। নাসিম ৪ ওভারের ৪৪ ও শাহীন দেন ৩৯ রান।

ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ শর্ট ৩২, অ্যারোন হার্ডি ২৮, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২১, জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকগার্ক ২০ ও টিম ডেভিড করেন ১৮ রান। ২৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন স্পেন্সার।

সোমবার হোবার্টে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান।