পেসার এনামুল হকের ছোবল দেওয়া ডেলিভারিতে ব্যাট সরাতে পারলেন না ইমরুল কায়েস। ব্যাটে চুমু খেয়ে বলটা গেল প্রথম স্লিপে রনি তালুকদারের হাতে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ১৬ রান করা ইমরুল এবার থামলেন ১ রানে।
লাল বলের ক্রিকেটে গুটি কয়েক স্মরণীয় ইনিংস ছাড়া ইমরুল বেশিরভাগ সময়ই ছিলেন নিষ্প্রভ। বিদায়ী ম্যাচেও পারলেন না আলো ছড়াতে। তবুও বিদায় বেলায় সতীর্থ, প্রতিপক্ষ ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের কাছ থেকে সম্মান পেয়েই মাঠ ছেড়েছেন। মিরপুরে সতীর্থরা গার্ড অব অনার দিয়েছেন। প্রতিপক্ষরা করতালিতে তাকে বরণ করে নেন। অফিসিয়ালরাও মিলিয়েছেন হাত। ২০০৭ সালে খুলনায় যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২০২৪ এ এসে তা থেমে গেল।
ইমরুলের বিদায়ী ম্যাচে ভালো অবস্থানে নেই খুলনা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ১৭২ রান করা খুলনা দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট মাত্র ৯১ রানে। অমিত মজুমদার সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। এনামুল হক করেন ১০ রান। এছাড়া মাসুম খান টুটুলের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। বল হাতে ঢাকা বিভাগের হয়ে ৪ উইকেট নেন পেসার এনামুল। ৩ উইকেট পেয়েছেন মাহফুজ রাব্বী। তৃতীয় দিনে ঢাকার লক্ষ্য ১০৪ রান। ম্যাচটা জিততে পারবে তো তারা?
এদিকে আগের ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়া সিলেটের অমিত হাসান আরেকটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। রোববার ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডানহাতি প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাটসম্যান। ২০৪ বলে ১০১ রান করেন ১৩ বাউন্ডারিতে। এছাড়া আসাদুল্লাহ গালিব ৫৬ রান করেন। তাদের ব্যাটে ভর করে সিলেট বিভাগ ৩৭৬ রান করেছে। প্রথম ইনিংসে তারা লিড পায় ২৪৬ রানের। পিছিয়ে পড়ে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটাও ভালো হয়নি ঢাকা মেট্রোর। ৪ উইকেটে ৪৯ রানে দিন শেষ করেছে তারা। চট্টগ্রামে ভালো অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম বিভাগ। আগের দিন ১৮ উইকেট যাওয়ায় আজ এই মাঠে চোখ ছিল অনেকের। আজও বোলাররা রাজত্ব করেছেন। পুরো দিনে উইকেট গেছে ১০টি।
রাজশাহীর দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংও ভালো হয়নি। ৮ উইকেটে ২০২ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে। তাদের লিড মাত্র ৬২ রানের। এর আগে চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৫২ রান। রাজশাহীর দ্বিতীয় ইনিংসে ধস নামিয়েছেন পেসার আহমেদ শরিফ। ১২ ওভারে ২ মেডেনে ৪৭ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ২ উইকেট পেয়েছেন আরেক পেসার ইরফান হোসেন।
রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ২১৮ রানে দিন শেষ করেছে রংপুর বিভাগ। আব্দুল্লাহ আল মামুন ৬৫ রান করেন। ৪০ রান আসে নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকে। রংপুর এখনও ১১৮ রানে পিছিয়ে। বরিশাল প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৩৬ রান।