বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যক্রম জোড়াতালি দিয়ে চলছে, এমন মন্তব্য করেছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার সেই বক্তব্যের সঙ্গে ‘একমত’ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বিগত সরকারের পতনের পর সব কিছুতেই পরিবর্তনে হাওয়া লেগেছিল। ক্রীড়াঙ্গনে শুরুটা হয়েছিল বিসিবিকে ঘিরে। বোর্ডের কমিটি ভেঙে দেওয়া, নতুন বোর্ড পরিচালক নিয়োগ করে বোর্ড সভাপতি বসানো, পুরোনো পরিচালকের ছাঁটাই (যারা পরপর তিন বোর্ড সভায় অনুপস্থিত) এবং নতুন আঙ্গিকে বিসিবি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। সেই সঙ্গে নানা অস্থিরতায়, মাঠে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে লাইমলাইট থেকে সরে যেতে থাকে ক্রিকেট। এ কারণে আমিনুল ইসলাম জাতীয় দলের খেলা দেখার পর গণমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘‘বিসিবি কোনো রকমে জোড়াতালি চলছে, তেমন পরিবর্তন হয়নি।’’
তার এই কথায় একমত পোষণ করে আসিফ মাহমুদ রোববার গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘যখন দায়িত্ব নিই, তখন বিসিবির লোকজনকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। নতুন পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে স্থবিরতা কাটানোর চেষ্টা চলছে। এটা বাস্তব যে বিসিবি জোড়াতালি দিয়ে চলছে। বিসিবিতে নতুন পরিচালক নিতে হবে।’’
বিসিবিতে পরিচালক সংকটের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন আসিফ মাহমুদ, ‘‘খুবই দুঃখজনক, আমাদের স্পোর্টসকে যেভাবে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছে। স্পোর্টসে এটা করা না হলে, বিসিবিতে রাজনৈতিক মানুষজন না থাকলে দেশে একটা পরিবর্তন হলেও বিসিবি তার মতো থাকতে পারত। ধারাবাহিকভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারত। আমি যখন দায়িত্ব নিলাম তখন বিসিবির কোনো পরিচালককে পাওয়া যাচ্ছিল না। কারও সঙ্গে যে পরামর্শ করব এমন একটা লোক পর্যন্ত ছিল না। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে (পরবর্তীতে) আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আইসিসির যে ফ্রেমওয়ার্ক আছে তার মধ্যে থেকে বিসিবিতে পরিবর্তন এনেছি।’’
বিসিবিসহ বাকি সব ফেডারেশনকে জবাবদিহিতার আওয়াত নিয়ে আসার কথাও বলেছেন আসিফ মাহমুদ, ‘‘এছাড়া প্রতিটি ফেডারেশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে প্রতিবছর কার্যক্রমের রিপোর্ট ও অডিট রিপোর্ট দেওয়া হবে। কেউ যদি দুর্নীতি করে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে ফুটবলসহ বেশ কিছু ফেডারেশন স্বায়ত্তশাসিত। তাই সেখানে সরকারের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।’’
রোববার (১৭ নভেম্বর) যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গত ১০০ দিনের কার্যক্রম নিয়ে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়া উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। ফেডারেশনগুলোর পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, “বিভিন্ন কমিটি নিয়ে যে অভিযোগ আছে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেখানে স্থবিরতা আছে, সেখানে নতুন কমিটি করে সংকট সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ফেডারেশনগুলোকে প্রতি বছরের হিসাব দিতে বলেছি। আপনারা (সাংবাদিকরা) ফেডারেশনগুলোকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন।’’