উয়েফা নেশন্স লিগের এবারের আসরে প্রথম দেখায় ইতালির কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল ফ্রান্স। তাও নিজেদের ঘরের মাঠে। ৭২ দিন পর রোববার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফিরতি লেগে আবার ইতালির মুখোমুখি হয় ফ্রান্স। এবার ইতালিকে তাদের ঘরের মাঠে সেই একই ব্যবধানে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলো ফ্রান্স।
শুধু হারায়নি, এই জয়ে তারা টেবিলের শীর্ষে থাকা ইতালিকে টপকে ‘এ২’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে গেছে। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা গ্রুপপর্বের শুরুটা করলো হেরে, আর শেষটা রাঙালো জয় দিয়ে। ৬ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ থেকে ইতালিরও সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। কিন্তু তারা গোল ব্যবধানে পিছিয়ে আছে।
এদিন অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। দ্বিতীয় মিনিটেই কর্নার পায় তারা। কর্নার থেকে আসা বলে হেড নিয়ে জালে জড়ান ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার আদ্রিয়েন র্যাবিওট।
৩৩ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে ফ্রান্স এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। এ সময় ডি বক্সের কিছুটা সামনে ফ্রি কিক পায় ফ্রান্স। ফ্রি কিক থেকে আসা ক্রসে লাফিয়ে উঠে হেড নেন র্যাবিওট। সেটা ক্লিয়ার করতে হেড নেন ইতালির গুগলিয়েলমো ভিকারিও। কিন্তু বল ক্লিয়ার না হয়ে তাদের জালে জড়িয়ে যায়।
৩৫ মিনিটে একটি গোল শোধ দিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় ইতালি। এ সময় বামদিক দিয়ে আক্রমণে উঠে গোললাইনের সামনে থেকে ফেদেরিকো ডিমারকো ক্রসে ভেতরে বল পাঠান। সেটাতে বাম পায়ে শটে নিয়ে জালে পাঠান আন্দ্রেয়া কাম্বিয়াসো।
বিরতির পর ৬৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ফ্রান্স। এ সময় ডি বক্সের বামদিকে ফ্রি কিক পায় তারা। ফ্রি কিক থেকে লুকাস ডিগনির ক্রস বক্সের ভেতরে আনমার্ক থাকা র্যাবিওটের মাথা খুঁজে পায়। তিনি হেড নিয়ে বল জালে জড়ান। শেষ পর্যন্ত র্যাবিওটের জোড়া গোলে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।
আগামী বছরের মার্চে শুরু হবে কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই।