স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুকে মঙ্গলবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ দিয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। সেখানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় নামাজে জানাজা। জাতীয় প্রেসক্লাবে হয় চতুর্থ জানাজা।
এর আগে সোমবার ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে প্রথম জানাজা শেষে হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল জাকারিয়া পিন্টুর মরদেহ। জানাজা ও সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাদ আসর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে কৃতিমান সাবেক ফুটবলারকে।
বার্ধক্যজনিত ও নানা রোগ নিয়ে রোববার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জাকারিয়া পিন্টু। হৃদযন্ত্র, কিডনি, লিভার সমস্যায় ভুগছিলেন। সোমবার দুপুর ১২টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জাকারিয়া পিন্টুকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
তার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সময় ফুটবলাররা ভারতে প্রদর্শনী ম্যাচের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের জন্য তহবিল গড়েছিলেন। পরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে। মালয়েশিয়ায় মারদেকা কাপে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এ ডিফেন্ডার। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে ক্রীড়া বিভাগে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালে জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ১৬টি ম্যাচ খেলে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ১২টিতে জিতেছিল। ম্যাচগুলোর টিকিট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থ তারা মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের তহবিলে দিয়েছিল।
পিন্টু ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত টানা খেলেছেন মোহামেডানে। পরবর্তীতে সেই ক্লাবের কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। কিংবদন্তিকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন মোহামেডানের সাবেক সতীর্থরা। এসেছিলেন ক্রীড়াঙ্গন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।