ব্রাজিলের দুঃসময় যেন কাটছেই না। টানা দুই ম্যাচে হোঁচট খেলো দরিভাল জুনিয়রের দল। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ম্যাচে বলতে গেলে জয়ের দেখাই পাচ্ছে না পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এবার উরুগুয়ের বিপক্ষেও একই দশা। হারতে গিয়েও কোনোমতে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে সেলেসাওরা। উরুগুয়ের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা।
বাংলাদেশ সময় বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোরে মাঠে নামে ব্রাজিল ও উরুগুয়ে। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ফেদে ভালভার্দের গোলে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। অবশ্য এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে পারেনি তারা। একটু পরেই ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান গারসন।
দুই লাতিন পরাশক্তির লড়াইয়ে প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। তবে তৃতীয় মিনিটে নেওয়া শটে জাল খুঁজে নিতে ব্যর্থ হন ভিনিসিউস জুনিয়র। ২১তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে সুযোগ পেয়েও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি উরুগুয়ের তরুণ ফরোয়ার্ড ফাকুন্দো পেলিস্ত্রি।
ব্রাজিল ভালো সুযোগটি পেয়েছিল প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। ৪৭তম মিনিটে রাফিনহার কর্নারে ইগো জেসুসের হেড ব্যর্থ করে দেন উরুগুয়ে গোলরক্ষক। তাতে গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই সুযোগ পান সাভিনহা। ম্যানচেস্টার সিটির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড শট রাখতে পারেননি লক্ষ্যে। পাল্টা আক্রমণে উরুগুয়ে এগিয়ে যায় খানিকবাদেই। ৫৫তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে তীব্র গতির শটে জাল খুঁজে নেন ভালভার্দে।
তবে ৬ মিনিটের বেশি লিড ধরে রাখতে পারেনি উরুগুয়ে। ৭ মিনিট পরই দূরপাল্লার শটেই দারুণ এক গোলে সমতা ফেরায় ব্রাজিল। রাফিনহার ক্রস হেড করে ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন রদ্রিগো বেন্তানকুর। বলের নাগাল পাননি তিনি। বল চলে যায় গারসনের পায়ে। জোরালো ভলিতে বাকি কাজ সারেন তিনি।
বাকি সময়ে দুই দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে যায়। এর মধ্যে নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেন ব্রাজিল অধিনায়ক দানিলো। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে।
টানা দুই জয়ের পর ব্রাজিল টানা দুই ড্রয়ে পিছিয়ে নেমে গেছে পাঁচে। ১২ ম্যাচে পাঁচ জয় আর তিন ড্রয়ে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ১৮। পাঁচ জয়ের সঙ্গে পাঁচ ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে উরুগুয়ে। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় আর্জেন্টিনা।
এদিকে দিনের অন্য ম্যাচে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে তিনে উঠে এসেছে ইকুয়েডর। দুটি দলেরই পয়েন্ট ১৯। কলম্বিয়া গোল পার্থক্যে পিছিয়ে নেমে গেছে চারে।