সাদা পোশাকে লাল বলের ক্রিকেটে তার নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়নি কখনোই। মুমিনুল হক যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এলেন তখন থেকেই তাকে টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।
মুমিনুলও নিজের মান রাখেন। অভিষেকের পর ২০১৪ সালে কমপক্ষে সাতশ রান করেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার ব্যাটিং গড়ই ছিল স্যার ডন ব্র্যডম্যানের পরে। ডন ব্র্যাডম্যানের ছিল ৯৯.৯৪। মুমিনুলের ৭৫.৫০।
এরপর নানা উত্থান-পতন হয়েছে তার ক্যারিয়ারেও। তবে তার টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা একদমই পাল্টেনি। অন্য ফরম্যাট তো খেলেন-ই। তবে লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেটের প্রতি আলাদা টান রয়েছে তার। সেই ভালোবাসারই পুরস্কার অ্যান্টিগায় পেলেন মুমিনুল।
বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রান পেরিয়ে গেছেন মুমিনুল। বর্তমানে যারা জাতীয় দলে খেলছেন তাদের মধ্যে মুমিনুলের রান অনেক এগিয়ে। মুমিনুলের আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রান করা অন্য দুজন হলেন তুষার ইমরান (১১ হাজার ৯৭২ রান) ও নাঈম ইসলাম (১০ হাজার ৮৪৭ রান)।
তুষার ১৫৪তম প্রথম শ্রেণির ম্যাচে দশ রান করেছিলেন সর্বপ্রথম। নাঈম তুষারের ক্লাবে নাম লিখান ১৬৪ ম্যাচে। সেখানে মুমিনুলের লাগল ১৫২ রান। হিসেবে মুমিনুল বাংলাদেশের দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রান পূর্ণ করলেন। ইনিংসের দিক থেকেও মুমিনুল তাদের চেয়ে এগিয়ে। মুমিনুল প্রয়োজন হয়েছে ২৬৭ ইনিংস।
তুষারের লেগেছিল ৩০৭ ও নাঈম করেছিলেন ২৭৮ ইনিংসে। ৯ হাজার ৯৫৫ রান নিয়ে অ্যান্টিগায় মাঠে নেমেছিলেন মুমিনুল। ৫০ রানের ইনিংস খেলার পথে মুমিনুল এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেন। জাতীয় দলের জার্সিতে মুমিনুলের রান ৪ হাজার ৪০১। বাকি ৫ হাজার ৬০৪ রান মুমিনুল করেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। ৩৯.৫ ব্যাটিং গড় তার। রয়েছে ২৯ সেঞ্চুরি ও ৪৬ হাফ সেঞ্চুরি।