খেলাধুলা

চতুর্থ দিনে ১৭ উইকেটের পতন, হারের কাছে বাংলাদেশ

:: সংক্ষিপ্ত স্কোর ::

দ্বিতীয় ইনিংস— ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৫২/১০ || বাংলাদেশ: ১০৯/৭ (৩১ ওভার)  প্রথম ইনিংস—ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৫০/৯ || বাংলাদেশ: ২৬৯/৯  

সিলসের বলে তাইজুল পরাস্ত হলে বাংলাদেশের সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে। এরপর চতুর্থ দিনে খেলা হয় আর মাত্র ১.২ ওভার। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১০৯ রানে দিন শেষ করে। জাকের ১৫ ও হাসান শূন্য রানে অপরাজিত আছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন মিরাজ। ২২ রান করেন লিটন। আর কেউ বিশের বেশি করতে পারেননি। জয়ের জন্য এখনো প্রয়োজন ২২৫ রান। হাতে আছে মাত্র ৩ উইকেট। সারাদিন জুড়ে পড়েছে ১৭ উইকেট। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে না নেমে ইনিংস ঘোষণা করে দেয়। উইন্ডিজ ১৮১ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫২ রান যোগ করে অলআউট হয়। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৩৪। 

ফিফটির কাছে গিয়ে আউট মিরাজ, বিপাকে বাংলাদেশ

লিটনের বিদায়ের পর জাকের আলীর সঙ্গে জুটি গড়ে দারুণ খেলছিলেন মিরাজ। দুজনের জুটিতে বিপদ ছাড়া শতরান পার করে বাংলাদেশ। মিরাজ নিজে ছিলেন ফিফটির কাছে। হঠাৎ যেন ছন্দপতন। সিলসের ফিফট স্ট্যাম্পের বলে অহেতুক ব্যাট চালিয়ে বিপাকে পড়েন। উইকেটের পেছনে দারুণ ক্যাচ ধরেন জশুয়া। ৪৬ বলে ৪৫ রান করেন মিরাজ। তার আউটে ভাঙে ৪৩ রানের জুটি। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী তাইজুল। 

৫৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ

অবশেষে উইকেটের দেখা পেলেন সামার জোসেফ। লিটন পা দিলেন সামার জোসেফের ফাঁদে। শর্ট বলে পুল করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কাজ হয়নি। স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন আলঝারির হাতে। দুই চারের মারে ১৮ বলে ২২ রান করেইন এই ব্যাটার। ৫৯ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ক্রিজে মিরাজের সঙ্গী জাকের আলী। 

টানা দুই জীবন পাওয়ার পরও আউট মুমিনুল

১২তম ওভারের চতুর্থ বল। সামার জোসেফের শর্ট অব লেন্থের বলে খোঁচা দেন মুমিনুল। ধরতে ব্যর্থ হন উইকেটরক্ষক জশুয়া। পরের শর্ট বলে আবার খোঁচা দেন, এবার গালিতে ধরতে ব্যর্থ হন লুইস! ১০ রানে পরপর দুই জীবন। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক পান বাঁহাতি এই ব্যাটার। রোচের লেন্থ বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন। ৩৬ বলে ১১ রান করে ফেরেন সাজঘরে। বাংলাদেশ ২৩ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট। তার আউটে ভীষন চাপে বাংলাদেশ। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী মিরাজ। 

উইকেটের মিছিলে এবার শাহাদাত 

উইকেটের মিছিলে এবার শাহাদাত। রোচকে খোঁচা দিয়ে ফেরেন সাজঘরে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেয় উইন্ডিজ। তাতে দেখা যায় ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় উইকেটরক্ষকের কাছে। ৪ রানে ফেরেন শাহাদাত। বাংলাদেশ ২০ রানে হারায় ৩ উইকেট। ক্রিজে মুমিনুলের সঙ্গি লিটন। 

৩৩৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ৭ রানে নেই ২ উইকেট

জাকিরকে অনুসরন করলেন জয়। সিলসের ফিফথ স্ট্যাম্পের বল অহেতুক খোঁচা দিয়ে বসেন এই ডানহাতি ওপেনার। দুজনের এমন বিব্রতকর আউটে ৩৩৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ১০ বলে ৬ রান করেন তিনি। বাংলাদেশ হারায় ৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট। ক্রিজে মুমিনুলের সঙ্গী শাহাদাত। 

জাকির ফিরলেন বোল্ড হয়ে 

সামনে বড় লক্ষ্য। হাতে এখনো চার সেশন। এমন সময়ে প্রথম ওভারেই জাকির হাসানকে হারালো বাংলাদেশ। রোচের ফিফথ স্ট্যাম্পের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে ইন্সাইড এজে বোল্ড হন জাকির। ৪ বলে শূন্য রানে ফেরেন এই ওপেনার। ১ রানে প্রথম উইকেটের পতন। ক্রিজে জয়ের সঙ্গী মুমিনুল। 

তাসকিনের ৬ উইকেট, ১৫২ রানে অলআউট উইন্ডিজ

সামার জোসেফকে বোল্ড করে প্রথমবার ফাইফারের স্বাদ পান তাসকিন। উইকেটে সিজদা দিয়ে করেন উদযাপন। পরের ওভারেই আনন্দ বেড়ে হয় দিগুণ। রোচকে ফেরান এই ডানহাতি পেসার। তাতে অবশ্য মিরাজের অবদানও কম না। ড্রাইভ করছিলেন রোচ, কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড়। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে মিড অফে দারুণ ক্যাচ নেন মিরাজ। রোচ ফিরলেন ১২ রানে। অলআউট হয় উইন্ডিজ। তাসকিন ১৪.১ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। এর আগে বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করলে ১৮১ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক শিবির। আরও যোগ করে ১৫২ রান। বাংলাদেশের সামনে বিশাল লক্ষ্য দাঁড়ায়। 

আলঝারিকে থামালেন মিরাজ, বাড়ছে উইন্ডিজের লিড

স্বীকৃত ব্যাটাররা আউট হলেও ভোগাচ্ছিলেন আলঝারি-রোচ। দুজনের জুটি ২০ রান তুলে ফেলে। তাতে বাড়তে থাকে উইন্ডিজের লিড। অবশেষে আলঝারি পরাস্ত হন মিরাজের ঘূর্ণিতে। সুইপ করতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। দারুণ ক্যাচ নেন জাকের আলী। ১৭ রানে ফিরেন আলঝারি। ক্রজে রোচের সঙ্গী সামার জোসেফ। উইন্ডিজের লিড ৩২৫। 

সপ্তম উইকেট হারালো উইন্ডিজ, তিনশ ছাড়ালো লিড

ক্রিজে আসার পর থেকে জশুয়া মেরে খেলার চেষ্টা করছিলেন। দ্রুত তুলছিলেন রান। তাকে থামালেন তাইজুল। অফে করা এক্সট্রা বাউন্সে পরাস্ত হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। মাত্র ১৮ বলে ২২ রান করেন তিনি। তার আউটে অলআউট থেকে মাত্র ৩ উইকেট দূরে উইন্ডিজ। ক্রিজে আলঝারির সঙ্গী হলেন রোচ। জশুয়ার আউটের আগে উইন্ডিজের লিড তিনশ ছড়িয়ে যায়। 

তাসকিনের চার উইকেট 

টানা তিন ওভারে তিন উইকেট হারালো উইন্ডিজ। এবার তাসকিনের বলে বোল্ড গ্রিবস। লেন্থ বলে পরাস্ত হন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান। ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত করে উইকেটে। মাত্র ৯৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারালো উইন্ডিজ। তাসকিন পেলেন চার উইকেটের দেখা। ক্রিজে জশুয়ার সঙ্গী আলঝারি জোসেফ। আলঝারি এসেই হাঁকান চার, পরের বলে নেন ডাবল। তাতে শতরান পার করে উইন্ডিজ। 

এবার মিরাজের ঘূর্ণিজাদু 

তাসকিনের পরের ওভারে মিরাজের আঘাত। জায়গা করে কাট করতে চেয়েছিলেন আথানাজে। বল ব্যাট মিস করে লাগে পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। প্রথম উইকেটের দেখা পেলেন মিরাজ। ৪২ রান করেন আথানাজে। ক্রিজে গ্রবসের সঙ্গী জশুয়া।

তাসকিনে পরাস্ত হজ

একটু আগেই হয়েছিল ফিফটির জুটি। বেশিদূর যেতে দেননি তাসকিন। এক্সট্রা বাউন্সে পরাস্ত হজ। বল পিচড হয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল। খোঁচা দিয়ে বসেন হজ। বল চলে যায় লিটনের হাতে। ১৫ রান করেন এই ব্যাটার। তার আউটে ভাঙে আথানাজের সঙ্গে গড়া ফিফটির জুটি। ক্রিজে এলেন গ্রিবস।

আড়াইশ ছাড়ালো লিড, রিভিউ হারালো বাংলাদেশ 

মধ্যাহ্ন বিরতির পর আড়াইশ রান ছাড়ালো উইন্ডিজের লিড। তার আগেই রিভিউতে রক্ষা পান আথানাজে। তাসকিনের বল আথানাজের পায়ে লাগলে জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিলে দেখা যায় উইকেট মিসিং। বেঁচে যান আথানাজে। পরের ওভারেই রিভিউ হারায় বাংলাদেশ। মিরাজের ঘূর্ণিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন হজ। পায়ে লাগলেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। লিটনের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ নেন মিরাজ। সেটিও পক্ষে আসেনি। এদিকে মেরে খেলার চেষ্টা করছেন হজ-আথানাজে। জুটির ফিফটি গড়েছেন ১১৫ রান।  

প্রথম সেশনে দারুণ করেও অস্বস্তিতে বাংলাদেশ

প্রথম সেশনে দারুণ কাটিয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র ৬৫ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছে তিন উইকেট। তবুও অস্বস্তিতে লাল সবুজের দল। বাড়ছে উইন্ডিজের লিড। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটির সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬১ রান। লিড ২৪২। ৩৯ রানে ৩ উইকেট পতনের পর প্রতিরোধ গড়েন আথানাজে-হজ। দুজনে ২২ রানের জুটি গড়েন। আথানাজে ১৬ ও হজ ১০ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন তাসকিন। ১ উইকেট নেন শরিফুল। 

তাসকিন-শরিফুলে ধুঁকছে উইন্ডিজ 

তাসকিনের পর শরিফুলের আঘাত। এবার সাজঘরে ব্র্যাথওয়েট। আউটসাইড অফের বলে খোঁচা দেন ব্র্যাথওয়েট। দ্বিতীয় স্লিপের দিকে বল যায় নিচু হয়ে। ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ নেন মাহমুদুল। ৩৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় উইন্ডিজ। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটার হজ-আথানাজে। 

আবারও তাসকিনের আঘাত 

তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার কার্টে। আউট সাইড অফের বলে অহেতু শট খেলতে গিয়ে বিপদে পড়েন এই ব্যাটার। স্লিপে সহজ ক্যাচ নেন মাহমুদুল। ১৩ বলে ৩ রান করেন এই ব্যাটার। ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় উইন্ডিজ। 

তাসকিনের আঘাতে প্রথম সাফল্য

তাসকিনের উইকেট হতে পারতো দুটি, কিন্তু ক্যাচ মিসে সেটি হয়নি। আউট সাইড অফে লেন্থ বল ছুঁড়েন তাসকিন। খোঁচা দিয়ে বসেন লুইস। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন লুইস। লাভ হয়নি। রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাট স্পর্শ করেই উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে যায়। লুইস ৮ রান করেন। ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় উইন্ডিজ। ৯ রানে জীবন পাওয়া ব্র্যাথওয়ের সঙ্গী কার্টে। 

শুরুতেই সহজ সুযোগ হাতছাড়া, উইন্ডিজের লিড ২০০

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সহজ সুযোগ হাতছাড়া। তাসকিনের করা দ্বিতীয় বলে খোঁচা দেন ব্র্যাথওয়েট। কিন্তু দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো শাহাদাতের হাত ফসকালো সহজ এই ক্যাচ। বল বরাবর গেলেও তালুবন্দি করতে পারেননি এই ক্রিকেটার। ৯ রানে জীবন পেলেন ব্র্যাথওয়েট। চার ওভার না যেতেই উইন্ডিজের লিড দুইশ ছাড়ালো। শুরু থেকে কিছুটা আক্রমণাত্বক ক্রিকেট খেলছে স্বাগতিক শিবির।  

১৮১ রানে পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণা

অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিন (সোমবার) মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখনো লাল সবুজের দল পিছিয়ে আছে ১৮১ রানে। তবে ব্যাটিংয়ে নামেনি মেহেদী হাসান মিরাজের দল। হাতে ১ উইকেট থাকলেও বাংলাদেশ ২৬৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে। তাসকিন ১১ ও শরিফুল ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। চতুর্থ দিন ১৮১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

তাসকিন-শরিফুলে তৃতীয় দিনের ইতি

অলআউট ছিল সময়ের ব্যাপার। তাসকিন-শরিফুল সেটি হতে দেননি। দুজনে ১২ রানের জুটি গড়ে অলআউট হওয়া থেকে বাঁচান তৃতীয় দিনে। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২৬৯। এখনো ১৮১ রানে পিছিয়ে লাল সবুজের দল। তাসকিন ১১ ও শরিফুল ৫ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে ৪০ রানে দিন শুরু করে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন জাকের। ৫০ রান আসে মুমিনুলের ব্যাট থেকে। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আলঝারি জোসেফ। 

সাড়ে চারশ রান করে উইন্ডিজের ইনিংস ঘোষণা

৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অলাউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন জাস্টিন। ৯৭ রান করেন লুইস ও ৯০ রান করেন আথানাজে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসান। দুটি করে উইকেট নেন তাসকিন-মিরাজ।