খেলাধুলা

আনন্দের দিনে বিষাদের ছায়া

অ্যান্টিগায় যখন সকাল বাংলাদেশে তখন সন্ধ্যা পেরিয়ে রাতের শুরু। প্রথম ইনিংসে ঝুলে থাকা ১ উইকেট হাতে নিয়ে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ, এমন অপেক্ষায় যখন পুরো দেশ তখন এলো ইনিংস ঘোষণার খবর। অথচ তখনো পিছিয়ে আছে ১৮১ রানে। ৪৫০ রানের জবাবে বাংলাদেশ করে ৯ উইকেটে ২৬৯!

চতুর্থ দিন ইনিংস ঘোষণার সেই আক্ষেপ উবে যেতেও বেশি সময় লাগেনি। তাসকিন আহমেদের তোপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে চলছিল উইকেটের মিছিল। প্রায় দুইশ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ১৫২ রানে অলআউট। ষোলোতম টেস্ট খেলতে নেমে তাসকিন নেন প্রথম ফাইফার। তার ঝুলিতে জমা হয় ৬ উইকেট!

স্বাগতিক শিবির দেড়শর একটু বেশি রান করলেও বাংলাদেশের সামনে যা লক্ষ্য দাঁড়ায় তা অবশ্য বিশাল। জিততে হলে করতে হবে ৩৩৪! রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটিং রূপ নেয় ধংসস্তুপে! উইন্ডিজকে কম রানে অলআউটের আনন্দ রূপ নেয় বিষাদে। অপেক্ষা শুরু হয় হারের।

শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট হাতে রেখে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে জমা মাত্র  ১০৯ রান। জাকের আলী ১৫ ও হাসান মাহমুদ শূন্য রানে অপরাজিত আছেন। ৫৯ রানে ৫ উইকেটের পতনের পর ধাক্কা সামাল দিয়েছিল মেহেদী হাসান মিরাজ-জাকের জুটি।

সিলসের ফিফথ স্ট্যাম্পের বলে অহেতুক ব্যাট চালিয়ে বিপাকে পড়েন মিরাজ। উইকেটের পেছনে দারুণ ক্যাচ ধরেন জশুয়া। ৪৬ বলে ৪৫ রান করেন মিরাজ। তার আউটে ভাঙে ৪৩ রানের জুটি। এরপর তাইজুল এসেও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি।

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মিরাজ। ২২ রান করেন লিটন। আর কেউ বিশের বেশি করতে পারেননি। জয়ের জন্য প্রয়োজন এখনো ২২৫ রান। হাতে মাত্র ৩ উইকেট থাকায় যা কল্পনা করাও যেন অবাস্তব হবে! উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন জায়দিন সিলস ও কেমার রোচ।