মইন খানের বল ওয়াইড লং অনে পাঠিয়ে ছুট অমিত হাসানের। সিলেট বিভাগের অধিনায়ক রান পূর্ণ করা মাত্র ডাগআউট থেকে সিলেটের খেলোয়াড়রা দৌড়ে ঢুকে পড়লেন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মাঠে। নাসুম আহমেদ, খালেদ হোসেন, ইবাদত হোসেনদের লক্ষ্য একটা স্টাম্প তুলে নেওয়ার। যেনতেন কোনো স্মারক নয়, মর্যাদার জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম শিরোপার স্মারক।
সিলেট এর আগে কখনো জাতীয় ক্রিকেট লিগে শিরোপা জেতেনি। এবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা উল্লাস তাদের। তাও ঘরের মাঠে। বরিশাল বিভাগের দেওয়া ১০৫ রানের লক্ষ্য ৫ উইকেট হারিয়ে পৌঁছে যায় সিলেট। প্রথমবার শিরোপা জয়ের আনন্দ, উল্লাস বোঝা যাচ্ছিল স্পষ্টভাবে।
ছয় ম্যাচে সিলেটের এটি চতুর্থ জয়। ড্র করেছে বাকি দুটিতে। ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে তাদের হাতে উঠতে যাচ্ছে শিরোপা। রংপুর ষষ্ঠ রাউন্ডের খেলায় জয় পেলে সিনারিও পরিবর্তন হতো। কিন্তু শেষ ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করায় সিলেটের শিরোপা জিততে আর বাধা থাকল না।
সিলেট আগের দিনই জয়ের অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিল। আজ শেষ দিনে ছিল ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব সামলানোর পালা। যদিও শুরুটা আশানুরূপ হয়নি। ২৭ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় সিলেট। তৌফিক খান তুষার ও তিনে নামা মুবিন আহমেদ দিশান রানের খাতা খোলার আগে আউট হন। আরেক ওপেনার পিনাক ঘোষ ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি। সেখান থেকে নাসুম ও অমিত ৭৭ রানের জুটি গড়েন। তাতে জয় এবং শিরোপা নিশ্চিত হয় সিলেটের।
জয়ের থেকে এক রান দূরে থাকতে নাসুম ৪৪ রানে আউট হলেও অমিত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৫২ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় নাসুম ৪৪ রানের ইনিংসটি খেলেন। অমিত ৬৯ বলে ৩৮ রান করেন ৫ বাউন্ডারিতে। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সিলেটের জয়ের নায়ক তোফায়েল আহমেদ।
এদিকে সিলেটের ব্যাটসম্যান অমিত দুই ইনিংসে ফিফটি পেয়ে লিগে নিজের রান ছয়শ ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন। ১০ ইনিংসে ৮২.৬৩ গড়ে অমিতের রান ৬৬১। খুলনার ওপেনার এনামুল হক বিজয় ১১ ইনিংসে রান করেছেন ৫৯৬। তার ব্যাটিং গড় ৫৪.১৮।