খেলাধুলা

জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে বড় জয়ে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান

আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের পরাজয় অনেকটাই অপ্রত্যাশিত ছিল। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে বৃষ্টি আইনে ৮০ রানে হারিয়েছিল ক্রাইগ আরভিনের দল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ালো পাকিস্তান। ১০ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে তারা।

মঙ্গলবার (২৬) বুলাওয়েতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৩২.৩ ওভারে ১৪৫ রানেই গুটিয়ে গেছে তারা। জবাব দিতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৯০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান।

ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের স্পিনারদের তোপের মুখে পড়েন জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ ও অফ স্পিনার আগা সালমান মিলেই ধসিয়ে দিয়েছেন তাদেরকে। ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। রানআউট হয়ে ফিরে যান তাদিওয়ানাশে মারুমানি। 

এরপর দ্রুত আরও এক উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন ডিওন মায়ার্স ও অধিনায়ক আরভিন। তবে এই জুটিও বেশিদূর যেতে পারেনি। ৩৮ রান তোলার পর আউট হয়ে যান মায়ার্স। এর খানিকবাদে আরভিনও একই পথ ধরেন।

মায়ার্স ও আরভিন আউট হওয়ার পর শুরু হয় জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। তাতে ৪৮ রান তুলতেই শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে জিম্বাবুয়াইনরা। লড়াই করার মতো পুঁজি স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেনি তারা।

পাকিস্তানের হয়ে আবরার ৮ ওভার বোলিং করে ৩৩ রানে ৪ ও সালমান ৭ ওভার বোলিং করে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট দখল করেছেন অন্য দুই স্পিনার সাইম আইয়ুব ও ফয়সাল আকরাম।

রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে করেন সাইম আইয়ুব। তাকে সঙ্গ দিতে দেখেশুনে খেলেন আরেক ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। সাইম তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৬২ বলে ১৭ চার ও ৩ ছয়ে করেন অপরাজিত ১১৩ রান। শফিক অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৩২ রান করে।

২৮ নভেম্বর একই মাঠে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ও তৃতীয় ওয়ানডে। দুই ম্যাচ শেষে সিরিজ সমতা থাকায় শেষ ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছে অঘোষিত ফাইনাল। দেখা যাক, ফাইনাল জিতে কোন দল ট্রফি জিতে নেয়।