সতীর্থ সুলতানা খাতুন যা বললেন তাতে দাঁড়ায়, শারমিন আক্তার সুপ্তা আজ যা করলেন তা শুধুমাত্র ট্রেইলার। পুরো ছবিটা এখনও দেখা বাকি! যদি সত্যিই এমন কিছু হয় তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের জন্য বড় পাওয়া হবে। দেড় বছর পর জাতীয় দলে ফিরেই শারমিন দলের জয়ের কান্ডারী।
সেঞ্চুরির সুবাস ছড়িয়ে ৮৯ বলে ১৪ চারে শারমিনের রান ৯৬। বোঝার উপায় ছিল না লম্বা সময় পর তিনি জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন। মাত্র ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও বেশ কিছু রেকর্ডকে সঙ্গী করেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৪১ বলে ফিফটি করে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড পূর্ণ করেন। ১৪ চার হাঁকিয়ে সবচেয়ে বেশি চারের রের্কডটাও নিজের করে নিয়েছেন।
বড় রান তো করেছেনই, শারমিন মুগ্ধ করেছেন তার ব্যাটিং প্রর্দশনীতে। তার শটের পরিধি বেড়েছে। বেড়েছে শট খেলার জায়গা। শক্তি কাজে লাগিয়েছেন ভালোভাবে। সঙ্গে ফিটনেসের উন্নতি করে রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও ছিল দারুণ।
২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের প্রথম আর্ন্তজাতিক ম্যাচে ফিফটি পেয়েছিলেন। এবার দেড় বছর পর জাতীয় দলে ফিরে শারমিন নিজেকে নতুন করে মেলে ধরলেন পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান হিসেবে। সুলতানা এতোটাই মুগ্ধ এবং তার ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করতে দ্বিধা করলেন না।
সুলতানার ভাষ্য, “অবশ্যই সে ভালো ব্যাটিং করেছে। দ্বিতীয়বার দেখলাম উনাকে এত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে। সে চাইলে ভালো ব্যাটিং করতে পারে। আরও বেশি ভালো হতো যদি সেঞ্চুরিটা হতো।”
৯৬ রানে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে শারমিন সাজঘরে ফেরেন একরাশ হতাশা নিয়ে। সামনে এর চেয়েও ভালো করবেন বলে বিশ্বাস সুলতানার, “উনি এর থেকে ভালো করতে পারে। আমি আশাবাদী তিনি আগামী ম্যাচে আরও ভালো করবেন। উনি নামার সময়ে পরিস্থিতি ছিল একরকম, নতুন বলে একজন ওপেনার ব্যাট করলে পরিস্থিতি থাকে অন্যরকম। উনি যেটা সহজে খেলতে পেরেছে, হয়তো ওপেনাররা সেভাবে শাফলিং করেও খেলতে পারেনি। উনি যে স্টার্ট দিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।”
বাংলাদেশ আজ ৪ উইকেটে ২৫২ রান করে যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ৩ উইকেটে ২৫০ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে স্বাগতিকদের লক্ষ্য ছিল আরো উচুঁতে, “২৭০ রানের উইকেট ছিল। আসলে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ৩০০ রান করার। দূর্ভাগ্যবশত হয়নি। পরের ম্যাচে আমরা চেষ্টা করবো।”- যোগ করেন সুলতানা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক দিন পর ফল পাওয়ায় খুশি সুলতানা খাতুন, ‘‘আসলে যখনই দল হেরে যায় সবাই একটু ভিন্ন অবস্থায় থাকে। সবাই চেষ্টা করে ম্যাচটা বাংলাদেশকে একটা ভালো ফলাফল এনে দিতে। যখন ম্যাচ জেতে, সবাই একটু ভিন্নভাবে নিজেদেরকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে।”