খেলাধুলা

ইউরোপের সর্বকনিষ্ট ‘গোল্ডেন বয়’ ইয়ামাল

লামিনে ইয়ামালের বয়স এখনো ১৮ পূর্ণ হয়নি। এর মধ্যেই ছুঁয়ে ফেলেছেন অসংখ্য রেকর্ড। জাতীয় দলের হয়ে জিতেছেন ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। এবার সর্বকনিষ্ট ফুটবলার হিসেবে জিতলেন ইউরোপের ‘গোল্ডেন বয়’ পুরস্কার।

ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে খেলা ২১ বছর বা এর চেয়ে কম বয়সীদের মধ্যে সেরা ফুটবলারকে এই পুরস্কারটি দেওয়া হয়। ইতালিয়ান সংবাদপত্র তুত্তোস্পোর্ট এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। ২০২৪ সালের সেরা হিসেবে ইয়ামালের নাম ঘোষণা করে তারা।

বার্সেলোনার চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে পুরস্কারটি জিতলেন ইয়ামাল। সর্বপ্রথম এই পুরস্কারটি জেতেন বার্সেলোনার ইতিহাসে সেরা ফুটবলারদের একজন লিওনেল মেসি। এরপর ইয়ামালের বর্তমান দুই সতীর্থ গাভি ও পেদ্রিও জেতেন। এবার চতুর্থবারের মতো ক্লাবকে গর্বিত করলেন ইয়ামাল। আর কোনো ক্লাবের তিনবারের বেশি নেই এই অর্জন।

ইয়ামালের পথচলা শুরু ২০২৩ সালে বার্সেলোবার জার্সিতে। তাকে তুলে এনেছিলেন ক্লাবটির কিংবদন্তি ও তৎকালীন কোচ জাভি হার্নান্দেজ। সেই থেকে আলো ছড়ানো শুরু। এরপর জাতীয় দলে ডাক পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি।

সবচেয়ে কম বয়সে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে মাঠে নামার পর সর্বকনিষ্ট খেলোয়াড় হিসেবে শিরোপা জয়ের স্বাদও পান ইয়ামাল। আসর জুড়ে চমৎকার পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন তিনি। সেখানেই শেষ না ইয়ামালের কীর্তি।

ব্যালন ডি’অরের মঞ্চও আলোকিত করেন বার্সেলোনা উইঙ্গার। সবচেয়ে কম বয়সে জিতেছেন সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার ‘কোপা অ্যাওয়ার্ড’। এবার জিতলেন ইউরোপ সেরার আরেকটি পুরস্কার। ৫০০ পয়েন্টের মধ্যে ৪৮৮ পয়েন্ট পেয়েছেন ইয়ামাল।

তুত্তোস্পোর্টে প্রকাশিত ভিডিওবার্তায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ইয়ামাল বলেন, “এই পুরস্কার জিততে পারা দারুণ এক সম্মান। আমি খুব খুশি। তুত্তোস্পোর্ট ও বিচারকদের ধন্যবাদ। বার্সেলোনা ও স্পেন জাতীয় দলের সবাই সহযোগিতা করেছেন। আমি খুব খুশি এবং সামনে আরও সাফল্য পেতে মুখিয়ে আছি।”

২০০৩ সালে পুরস্কারটি দেওয়া শুরু করে তুত্তোস্পোর্ত। এর আগে ওয়েইন রুনি, লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে, আরালিং হালান্ডের মতো তারকারা জিতেছেন ‘গোল্ডেন বয়।’ গতবার জেতেন রিয়াল মাদ্রিদের জুড বেলিংহ্যাম।