বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) বিশ্বব্যাপী আকর্ষণীয় করতে সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য মাঠে কিংবা বাইরে নানা আয়োজনের পাশাপাশি টেলিভিশনে খেলা দেখা দর্শকদের জন্যও থাকছে নানা চমক।
তারই ধারাবাহিকতায় বিপিএলের ধারাভাষ্যে ক্রিকেট বিশ্বের জনপ্রিয় মুখদের রাখতে চায় বিসিবি। এজন্য বিশ্বের নামি-দামি ধারাভাষ্যকারদের তালিকা করে তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
শুধু ধারাভাষ্য নয়, অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর মতো থাকবে প্রেজেন্টার ও ডিজিটাল ইনসাইডার। যারা মাঠ থেকে নানা আয়োজনে যুক্ত থাকবেন। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের একটি সূত্র রাইজিংবিডিকে বিষয়গুলো জানিয়েছে।
ধারাভাষ্যের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইয়ান বিশপ, পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস ও রমিজ রাজা, ভারতের হার্শা ভোগলে, নিউ জিল্যান্ডের ড্যানি মরিসন ও সায়ম ডুল, ইংল্যান্ডের অ্যালান উইকিংস, দক্ষিণ আফ্রিকার এইচডি আকারম্যানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
ধারাভাষ্যের জন্য দেশিদের মধ্যে আছেন শামীম চৌধুরী, আতহার আলী খান, মাজহার উদ্দিন অমি ও সমন্বয় ঘোষ।
প্রেজেন্টার ও ডিজিটাল ইনসাইডারদের মধ্যে পাকিস্তানের জয়নব আব্বাস, ভারতের রিদিমা পাঠক ও অস্ট্রেলিয়ার এরিন হল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
দেশিদের মধ্যে প্রেজেন্টার ও ডিজিটাল ইনসাইডাররা হলেন মারিয়া নূর, আজরা মোহাম্মদ ও কাজী সাবির।
বিপিএলকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে সদস্য সচিব নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, ‘‘কীভাবে এটাকে আন্তর্জাতিক মানের টুর্নামেন্টে পরিণত করা যায়, ব্র্যান্ড হিসেবে তৈরি করা যায়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায়…বিশ্ব যেন দেখে বাংলাদেশের তরুণরা কেমন, বাংলাদেশের সমাজটা কেমন, বাংলাদেশের খাওয়া কেমন…এই জিনিসটা যেন সবাই দেখে।’’
‘‘এই উপলক্ষটাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া নিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে। সামাজিক বিভিন্ন ব্যাপারে বিপিএলকে ব্যবহার করা হবে। শুধু বিপিএল নয়, বাংলাদেশও একটা ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পাবে এই বিপিএলের পর’’-আরও যোগ করেন ফাহিম।
বিপিএলের ১১তম আসর মাঠে গড়াতে এক মাস বাকি। চলতি বছরের ২৯ ডিসেম্বর শুরু হবে ফ্র্যাঞ্চাইভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট। প্রায় দেড় মাসব্যাপী এই টুর্নামেন্ট শেষ হবে পরের বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। এবারের বিপিএলের ৭টি দল হলো—ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স, রংপুর রাইডার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।