সাদা পোশাকে প্রত্যাবর্তনটা ভালোভাবেই রাঙালেন কেন উইলিয়ামসন। প্রথম ইনিংসে নব্বইয়ের ঘরে রান করা এই ব্যাটার দ্বিতীয় ইনিংসেও ছুঁয়েছেন আরেকটি মাইলফলক। নাম লিখিয়েছেন টেস্টে ৯ হাজারি ক্লাবে। নিউ জিল্যান্ডের উপলক্ষ্য এটুকুই। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বাকিটা স্রেফ ভুলে যাওয়ার মতো। তাতে জয়ের সুবাস পাচ্ছে ইংল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে নিউ জিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের জবাবে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তুলেছে ৪৯৯ রান। প্রথম ইনিংসে ১৫১ রানে পিছিয়ে থাকা নিউ জিল্যান্ড তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করেছে ৬ উইকেট ১৫৫ রান নিয়ে। চার উইকেট নিয়ে এখন মাত্র চার রানে এগিয়ে কিউইরা।
দ্বিতীয় দিন ক্যাচ মিসের সুযোগ নিয়ে ভালো রান করে ইংল্যান্ড। চার বার জীবন পেয়ে হ্যারি ব্রুক অপরাজিত ছিলেন ১৩২ রানে। তৃতীয় দিন ব্রুক যখন ফেরেন, তার নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ১৫ চার ও ৩ ছক্কায় ১৯৭ বলে ১৭১ রান।
এরপর ক্রিস ওকস বিদায় নিলেও অষ্টম উইকেটে ৫৩ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন স্টোকস ও গাস অ্যাটকিনসন। নবম উইকেটে আসে আরও ৪০ রান, মাত্র ৩২ বলে। শেষে ছক্কার চেষ্টায় ৮০ রান করে হেনরিকে উইকেট দিয়ে ফেরেন স্টোকস। ২৪ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন কার্স।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ রানেই ফিরে যান অধিনায়ক টম লাথাম। ৮ রান করেন ডেভন কনওয়ে। দুজনকেই ফেরান কার্স। এরপর রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন কেন উইলিয়ামসন। ২৪ রান করা রাচিনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন কার্স।
এরপর জুটি গড়েন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল। জমে ওঠে দুইজনের জুটি। এর মধ্যেই ৯ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন উইলিয়ামসন। ৮৬ বলে ৬১ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি। পরের বলেই উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন টম ব্লান্ডেল। ১৯ রান থামেন গ্লেন ফিলিপসও।
দিনশেষে মিচেল অপরাজিত ৩১ রানে। তার সঙ্গী নাথান স্মিথ। তবে এই ম্যাচ কার্যত ফসকে গেছে নিউ জিল্যান্ডের হাত থেকে। বাকিটা দেখা যাবে চতুর্থ দিনে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৪৮ ও ২য় ইনিংস: ৪৯ ওভারে ১৫৫/৬ (উইলিয়ামসন ৬১, মিচেল ৩১*)
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১০৩ ওভারে ৪৯৯ (ব্রুক ১৭১, স্টোকস ৮০)