আরেকটি জয় তুলে জাতীয় ক্রিকেট লিগের এবারের মৌসুম শেষ করলো ঢাকা মেট্রো। শেষ রাউন্ডের ম্যাচে তারা চট্টগ্রাম বিভাগকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে।
সোমবার তৃতীয় দিনের খেলায় জিততে ঢাকা মেট্রোর ১৪১ রান লাগত। দ্বিতীয় সেশনে জয় নিশ্চিত করে তারা। আইচ মোল্লা ৪২ ও নাঈম শেখ ৩৫ রান করেন। শামসুর রহমান শুভর ব্যাট থেকে ২১ ও আসিনুল ইসলাম ১৯ রান করেন।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন পেসার মেহেদী হাসান রানা। টানা দুই ম্যাচে ফাইফারের স্বাদ পেয়েছেন। এবার তার শিকার ৭ উইকেট। তার আগুনে বোলিংয়ে রংপুর বিভাগ মাত্র ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায়। ৩১ রানে ৭ উইকেট নেন মেহেদী। এজন্য ১৩.৪ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। রংপুরের পাঁচ ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেনি। সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন দশে নামা মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। ২২ রান আসে নবিন ইসলামের ব্যাট থেকে।
এর আগে খুলনার ইনিংস শেষ হয় ২৪৪ রানে। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন মোহাম্মদ মিথুন। কিন্তু ৯২ রানে থামতে হয় তাকে। রংপুরের পেসার মেহেদীর বলে বোল্ড হন খুলনার অধিনায়ক। শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকার বিপক্ষে ভালো অবস্থানে বরিশাল। ১৮৬ রানের লিড তাদের। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২০৭ রান করেছে তারা। ঢাকা বিভাগ প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৩১০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। বরিশালের হয়ে ফিফটি পেয়েছেন ফজলে মাহমুদ (৫০) ও মইনুল ইসলাম (৫৬)।
শিরোপা নিশ্চিত করা সিলেটের সুযোগ ছিল অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। কিন্তু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ভালো অবস্থায় নেই তারা। রাজশাহীর দেয়া ২০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৮ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ১৪২ রান। আগামীকাল শেষ দিনে জয়ের জন্য সিলেটের প্রয়োজন ৫৯ রান। রাজশাহীর চাই ২ উইকেট। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটি পেয়েছেন অমিত হাসান। বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলামের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৯৩ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ইনিংসটি সাজান তিনি। ৬৬১ রান নিয়ে লিগের শেষ রাউন্ড খেলতে নেমেছিলেন। লিগ শেষ করলেন ৭৮৫ রান নিয়ে। প্রথমবার জাতীয় লিগের শিরোপা জেতা সিলেট শেষটা রাঙাতে পারে কিনা সেটাই দেখার।