:: সংক্ষিপ্ত স্কোর ::
বাংলাদেশ: ১১০/২ (২০ ওভার) প্রথম ইনিংস— বাংলাদেশ: ১৬৪/১০।। উইন্ডিজ: ১৪৬/১০
প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয় সেশনেও দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৮ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিং করতে নেমে শূন্য রানে উইকেট হারালেও দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায়। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিংয়ের পর শাহাদাত ফিরলেও মিরাজ-সাদমান আরও একধাপ এগিয়ে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকে। তাতে মাত্র ২০ ওভারে ১১০ রান করে বাংলাদেশ। লিড ১২৮ রান। সাদমান ৪৪ ও মিরাজ ২৬ রানে অপরাজিত থেকে চা বিরতিতে গেছেন।
সাদমান-মিরাজে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
সাদমান-মিরাজের ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। মাত্র ২৯ বলে দুজনের জুটির ফিফটি হয়। মিরাজ এসেই টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করেছিলেন। সঙ্গ দেন সাদমানও। অবশ্য জুটির ফিফটির পর খেলার ধরণ পালটে ধীরে ব্যাটিং শুরু করেন দুজনে। বাংলাদেশ দলীয় শতরান পূর্ণ করে ১৫.৪ ওভারে। লিড ১২৬ রান। সাদমান ৪৩ ও মিরাজ ২৬ রানে ব্যাটিং করছেন।
টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং, বাংলাদেশের লিড একশ ছড়ালো
ক্রিজে এসে সামার জোসেফকে টানা চারটি বাউন্ডারি হাঁকান মিরাজ। অন্য প্রান্তে থাকা সাদমানও তখন মেরে খেলা শুরু করেন। দুজনের জুটির ফিফটি হয় মাত্র ২৯ বলে। তাতে বাংলাদেশের লিড একশ ছড়াতে বেশি সময় লাগেনি। সাদমান ৪০ ও মিরাজ ২৩ রানে ব্যাটিং করছেন।
ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিংয়ের পর শাহাদাতের বিদায়
শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সাদমানের সঙ্গী হন শাহাদাত। ক্রিজে এসে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং শুরু করেন এই ব্যাটার। জুটি ফিফটির কাছাকাছি যেতেই আউট হন। সিলসের বলে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ২৮ রান। তার আউটে ভাঙে ৪৭ রানের জুটি। ক্রিজে সাদমানের সঙ্গী মিরাজ।
এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে শূন্য রানে ফিরলেন জয়
এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রয়োজন ধৈর্য্য ধরে ব্যাটিং করা একটা চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেওয়া। কিন্তু শুরুতেই ভুল করে বসলেন জয়। সিলসের বলে বরাবরের মতো খোঁচা দিয়ে ফিরলেন সাজঘরে। দলের শূন্য, নিজের শূন্য রানে। উইন্ডিজ সিরিজে কোনো ম্যাচেই দুই অঙ্কের ঘরের মুখ দেখেননি। ক্রিজে সাদমানের সঙ্গী হলেন শাহাদাত।
১৪৬ রানে অলআউট উইন্ডিজ
প্রথম সেশনে কাজটা সেরে রেখেছিল বাংলাদেশ। বাকি ছিল দুই উইকেট। মধ্যাহ্ন বিরতির পর এসে মিরাজ সামার জোসেফকে ফেরান। আর শেষটা করেন নাহিদ রানা। ক্যারিয়ারে প্রথম ফাইফারের দেখা পান গতি তারকা রানা। উইন্ডিজ অলরাউট হয় ১৪৬ রানে। বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ১৮ রানে। ৬১ রানে ৫ উইকেট নেন ফাইফার। ২ উইকেট নেন হাসান। ১টি করে উইকেট নেন তাইজুল-মিরাজ-তাসকিন। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন কার্টে। ৩৯ রান করেন ব্র্যাথওয়েট। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরের মুখ দেখেননি।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের বাজিমাত
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের বাজিমাত। ব্যাকফুটে থেকে দিন শুরু করলেও নাহিদ রানার তোপে উইন্ডিজের উইকেটের মিছিলের শুরু হয়। রানার সঙ্গে তাসকিন-হাসান থেকে শুরু করে তাইজুলও উইকেট শিকারে যোগ দেন। তাতে কুপোকাত উইন্ডিজ। প্রথকিমি. সেশনে তারা ৬৫ রান তুলতে হারায় ৭ উইকেট! দিন শুরু করেছিল ৭০ রানে ১ উইকেট নিয়ে। রানা একাই নেন ৪ উইকেট। হাসান নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন তাইজুল-তাসকিন। উইন্ডিজ এখনো পিছিয়ে ২৯ রানে। সামার জোসেফ ৫ ও কেমার রোচ ৬ রানে ক্রিজে অপরাজিত আছেন।
রানার চার উইকেট
চতুর্থ উইকেটের দেখা পেলেন নাহিদ রানা। আউট সাইড অফের ফুল টস বলে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন আলঝারি। দারুণ ক্যাচ নেন মিরাজ। এটি রানার চতুর্থ উইকেট। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো চার উইকেটের দেখা পেলেন এই পেসার। উইন্ডিজ অষ্টম উইকেট হারালো। ক্রিজে রোচের সঙ্গী সামার জোসেফ। এখনো ৩৫ রান পিছিয়ে আছে উইন্ডিজ।
হাসানের জোড়া উইকেট
হাসানের আউট সাইড অফ থেকে ভেতরে ঢুকা বলে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন জশুয়া। লাভ হয়নি। বল আঘাত করে প্যাডে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলেও তার বিপক্ষে যায়। ৫ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। নিজের পরের ওভারেই আবার হাসানের আঘাত। এবার ফ্লিক করতে গিয়ে আউট হন সেট ব্যাটার কার্টে। বল ব্যাটের কানায় লেগে যায় উইকেটের পেছেন। ৪০ রানে ফেরেন কার্টে। ক্রিজে নতুন দুই ব্যাটার রোচ-জোসেফ।
তাইজুলের প্রথম উইকেট
তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন গ্রিভস। কিছুটা এগিয়ে এসে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন এই ব্যাটার। কিন্তু বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত করে উইকেটে। বোল্ড গ্রিভস। ১০৫ রানে ৫ উইকেট হারালো উইন্ডিজ। ২ রান করেন এই ব্যাটার। ক্রিজে কার্টের সঙ্গী জশুয়া।
উইকেটের দেখা পেলেন তাসকিন
রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে আউটসাইড অফে বল ছুঁড়েন তাসকিন। ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন আথানাজে। বল ব্যাটে লেগে আঘাত করে উইকেটে। ইনসাইড এজ! ২ রান করেন আথানাজে। ১০০ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো উইন্ডিজ।
রানার গতিতে পরাস্ত হজ
১৪৩ কিলোমিটার গতিতে বল ছুড়েছিলেন নাহিদ। এক্সট্রা বাউন্স ছিল। তাতে পরাস্ত হজ। খোঁচা দিয়ে বসেন এই ব্যাটার। প্রথম স্লিপের দিকে যেতে থাকা বল ঝাঁপিয়ে পড়ে তালুবন্দি করেন। এটি নাহিদের তৃতীয় উইকেট। এর এক বল আগেই হজের ক্যাচ ফেলেছিলেন তাসকিন। ৩ রান করেন তিনি। ক্রিজে কার্টের সঙ্গী আথানাজে।
রানার আঘাতে ফিরলেন ব্র্যাথওয়েট
শুরুতেই নাহিদ রানার আঘাত। অফে করা শর্ট বলে পরাস্ত হন উইন্ডিজ অধিনায়ক। গালিতে সহজ ক্যাচ ধরেন বদলি ফিল্ডার জাকির হাসান। ব্র্যাথওয়ের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান। তৃতীয় দিন মাত্র ৬ রান যোগ করতে পারেন এই ব্যাটার। কার্টের সঙ্গী হলেন হজ।
পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ
তৃতীয় দিন সোমবারও (২ ডিসেম্বর) খেলা শুরু হলো ১৫ মিনিট আগে। প্রথম দিন দুই সেশন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় পরপর দুই দিন আগে খেলা শুরু হচ্ছে। ব্র্যাথওয়েট ৩৩ ও কার্টে ১৯ রানে। বাংলাদেশ আছে ব্যাকফুটে।
শেষ সেশনে উইন্ডিজের হাসি
দিনের শেষ সেশনে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েছে উইন্ডিজ। ব্র্যাথওয়েট-কার্টে প্রতিরোধ গড়ে দিন শেষ করে আসেন। ব্র্যাথওয়েট ৩৩ ও কার্টে ১৯ রানে অপরাজিত আছেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৫ রান। বাংলাদেশের হয়ে ১টি উইকেট নিয়েছেন নাহিদ রানা। বাকি দুই সেশনে পড়েছে ৮টি উইকেট।
১৬৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ থামলো ১৬৪ রানে। সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাদমান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে মিরাজের ব্যাট থেকে। ৯৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মিরাজ ক্রিজে আসেন। এরপর সাদমানও ফিরলে টেলএন্ডারদের নিয়ে লড়াই করতে থাকেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার আউটের পর বাংলাদেশ মাত্র ৪ রান করতে পারে। এ ছাড়া শাহাদাত ২২, তাইজুল ১৬ ও তাসকিন ৮ রান করেন। মাঝে লিটন-জাকের ১ রান করে ফেরেন। আগের দিন জয়-মুমিনুল ফেরেন শুরুতে। জয়ের ব্যাট থেকে ৩ রান আসলেও মুমিনুল খাতা খুলতে পারেননি। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন সিলস, ৩ উইকেট নেন সামার জোসেফ।
বাংলাদেশ একাদশ
মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, শাহাদাত হোসেন দিপু, মুমিনুল হক, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা।
উইন্ডিজ একাদশ
ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), মিকাইল লুইস, কেসি কার্টি, কাভেম হজ, অ্যালিক অ্যাথানাজে, জাস্টিন গ্রিভস (উইকেটরক্ষক), জোশুয়া দ্য সিলভা, আলজারি জোসেফ, কেমার রোচ, জেডেন সিলস, শামার জোসেফ।