খেলাধুলা

১৫ বছর পর উইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

প্রথম ইনিংস: বাংলাদেশ ১৬৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪৬ দ্বিতীয় ইনিংস: বাংলাদেশ ২৬৮, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৮৫

 লিড: ২৮৬

ফল: বাংলাদেশ ১০১ রানে জয়ী

জয় থেকে তখন বাংলাদেশ মাত্র ১ উইকেট দূরে। নাহিদ রানার ইয়র্কারে বোল্ড সামার জোসেফ। বাংলাদেশ পেলো ১০১ রানের অসাধারণ জয়। দুই ম্যাচের সিরিজে এলো ১-১ সমতা। তাইজুল একাই নেন ৫ উইকেট। তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এ ছাড়া হাসান-তাসকিন দুটি ও নাহিদ নেন ১টি উইকেট। দুই ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন তাসকিন। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন হজ, ৪৩ রান করেন ব্র্যাথওয়েট। আর কেউ ২০ রানের বেশি করতে পারেননি।   ১৫ বছর পর বাংলাদেশ উইন্ডিজের মাটিতে জয়ের দেখা পেলো। নিয়মিত অধিনায়ক শান্তর অবর্তমানে প্রথম সিরিজে টেস্ট জয়ের কীর্তি গড়েন মিরাজ। 

হাসানের জোড়া আঘাতে জয়ের কাছে বাংলাদেশ 

পাঁচ ওভার বোলিং করে লম্বা বিরতি। হাসান আবার বোলিংয়ে আসেন ৪৯তম ওভারে। এসেই প্রথম বলে উইকেট। বোল্ড আলঝারি জোসেফ। ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। চার বল পর আরও একটি উইকেট। এবার এলবিডব্লিউ করেন রোচকে। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। ওভারে হাসানের জোড়া উইকেটে জয় থেকে ১ উইকেট দূরে বাংলাদেশ। ক্রিজে সিলসের সঙ্গী জোসেফ। উইন্ডিজের প্রয়োজন ১১২ রান।

তাইজুলের ফাইফার, জয় দেখছে বাংলাদেশ

এবার তাইজুলের ঘূর্ণিতে সাজঘরে জশুয়া। ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল ব্যাট ফাঁকি দিয়ে লাগে পায়ে। আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও পার পেলেন না এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। তাইজুল ১৫তম বারের মতো টেস্ট ক্যারিয়ারে পেলেন পঞ্চম উইকেটের দেখা। ১৫৬ রানে উইন্ডিজ সপ্তম উইকেট হারালো। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন মাত্র ৩ উইকেট। উইন্ডিজের প্রয়োজন ১১৪ রান। 

তাসকিনের অসাধারণ ডেলিভারিতে বোল্ড গ্রিভস

তাসকিনে পরাস্ত গ্রিভস! ফুলার বল হালকা নিচু হয়ে ভেতরে ঢুকে। ডিফেন্স করতে গিয়েও পারেননি গ্রিভস। ভেঙে দেয় উইকেট। ভূপাতিত হন এই ব্যাটার। ৪৫ বলে ২০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। উইন্ডিজ হারালো ষষ্ঠ উইকেট। ক্রিজে জশুয়ার সঙ্গী আলঝারি জোসেফ।  

তাইজুলের শিকার ফিফটি করা হজ 

চা বিরতির পর এসেই ফিফটি তুলে নেন হজ। ছিলেন মাত্র ১ রান দূরে। ৬টি চারের মারে ৬৪ বলে ফিফটির দেখা পান। ফিফটির পর তাকে বেশিদূর যেতে দেননি তাইজুল। হুমকি হয়ে ক্রিজে থাকা এ ব্যাটারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে পাঠান এই স্পিনার। ৫৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তার আউটে ভাঙে ৩৭ রানের জুটি। ক্রিজে গ্রিভসের সঙ্গী জশুয়া। জয়ের জন্য উইন্ডিজের প্রয়োজন ১৩৩ রান। বাংলাদেশের ৫ উইকেট।

তাইজুলের ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের

দ্বিতীয় সেশনে উইন্ডিজের তিন উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। বিপরীতে রানও দিয়েছে কিছুটা হাতখুলে। এই সেশনে তারা ১১০ রান যোগ করে। সবমিলিয়ে চা বিরতিতে যাওয়ার আগে উইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৩৩। হজ ৪৯ ও গ্রিভস ১০ রানে অপরাজিত আছেন। দলটির জয়ের জন্য এখনো প্রয়োজন ১৫৪ রান। বাংলাদেশের ৬ উইকেট।

তাইজুলের ঘূর্ণিজাদুতে উইন্ডিজের জোড়া পতন

তাইজুলের ঘূর্ণি টার্নের সঙ্গে লাফিয়ে উঠছিল। এগিয়ে এসে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন ব্র্যাথওয়েট। কিন্তু বল ব্যাটে লেগে উঠে যায় প্রথম স্লিপের বাইরে দিয়ে। জয় দৌড়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন। উইন্ডিজ হারায় সেট ব্যাটার ব্র্যাথওয়েটকে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। ভাঙে ৩৫ রানের জুটি। তার আউটের পর ক্রিজে আসেন আথানাজে। তাকে বোল্ড করে ফেরান তাইজুল। টানা দুই ওভারে তাইজুলের দুই উইকেট। উইন্ডিজের জোড়া পতন। ১০৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো উইন্ডিজ। ক্রিজে হজের সঙ্গী গ্রিভস। 

রিভিউ হারালো বাংলাদেশ

পিচ করে তাসকিনের বল ঢুকে যায় ভেতরে। মিস করেন ব্র্যাথওয়েড। প্যাডে লাগলেও জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলে মিরাজ রিভিউ নেন। কিন্তু তা বাংলাদেশের বিপক্ষে যায়। রিপ্লেতে দেখা যায় বল বেরিয়ে যাচ্ছিল লেগ স্ট্যাম্পের পাশ দিয়ে। ১৭তম ওভারে রিভিউ হারায় বাংলাদেশ।  

তাসকিনের শিকার কার্টে 

তাসকিনের করা আউটসাইড অফের বল বেরিয়ে যাচ্ছিল। ব্যাট চালিয়ে বসেন কার্টে। খোঁচা লেগে যায় উইকেটের পেছেন। জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ১৪ রানে ফেরেন কার্টে। ভাঙে ব্র্যাথওয়ের সঙ্গে গড়া ৩৪ রানের জুটি। মধ্যাহ্ন বিরতির পর এই জুটি অস্বস্তি দিচ্ছিলো। ক্রিজে ব্র্যাথওয়ের সঙ্গী হজ। 

মধ্যাহ্ন বিরতির পর উইন্ডিজের প্রতিরোধ

লুইসের আউটের পর ব্যাকফুটে থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় উইন্ডিজ। ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে জমা হয় মাত্র ২৩ রান। বিরতির পর ব্র্যাথওয়ের সঙ্গী হন কার্টে। দুজনে ধীরে ধীরে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছেন। ব্র্যাথওয়েটকে কিছুটা মারমুখি ব্যাটিং করতে দেখা যাচ্ছে। দুজনের জুটি থেকে এখন পর্যন্ত আসে ২৭ রান। ১১ ওভারে দলীয় ফিফটি পূর্ণ হয়। ব্র্যাথওয়েট ৩৩ ও কার্টে ১০ রানে ব্যাটিং করেন। 

লাঞ্চের আগে উইকেট নিয়ে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

মধ্যাহ্ন বিরতির আগে স্পিনার তাইজুল ইসলামকে বোলিংয়ে আনলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ধারভাষ্যকাররা কিছুটা অবাক। কিন্তু নতুন বলে তাইজুল নিজের কার্যকারীতা দেখালেন। ফেরালেন ওপেনার মিকাইল লুইসকে। ভাঙলেন উদ্বোধনী জুটি। বিরতির আগে ১ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকল। বাঁহাতি স্পিনারের বল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ দেন লুইস। শাহাদাত লাফিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন। 

এই ম্যাচ জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮৭ রান করতে হবে। বিরতির আগে ১ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২৩ রান। চতুর্থ দিনের সকালটা ব্যাট-বলে নিজের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। জাকের আলীর বীরত্বপূর্ণ ৯১ রানে বাংলাদেশ ২৮৬ রানের লিড পায়।  

জিততে রেকর্ড গড়তে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে

কিংসটনের সাবিনা পার্কে দুইশর বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড মাত্র দুটি। সর্বোচ্চ ২১২ রান তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জিতেছিল ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১২ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৬ রান করে জয় পেয়েছিল ৫ উইকেটে। এই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে। ভাঙতে হবে নিজেদের অতীত কীর্তি। 

৭৫ রানের ৬২-ই জাকেরের ব্যাটে

চতুর্থ দিনের সকালে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে ৭৫ রান যোগ করে। যার ৬২ রানই এসেছে জাকের আলীর ব্যাট থেকে। টানা তিন টেস্টে ফিফটি পাওয়া জাকেরের টেস্ট ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো হয়েছে। ৯১ রানে থামেন এই ব্যাটসম্যান। 

সাবিনা পার্কে আজকের লড়াইটা তার সামর্থ্যের প্রমাণ করে। তিন অঙ্ক ছুঁতে পারলে নিশ্চিতভাবে আনন্দ দ্বিগুন হতো। ৯১ তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান। এর আগে ৫৮ এবং ৫৩ রানের ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম তিন ম্যাচেই ফিফটি একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান জাকের।  

জাকেরের বীরত্বগাথা ৯১, ওয়েস্ট ইন্ডিজের টার্গেট ২৮৭

সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে পথ হারালেন জাকের আলী। তবে কিংসটনের সাবিনা পার্কে যা করলেন তা ক্রিকেট বিশ্ব মনে রাখবে লম্বা সময়। বিরুদ্ধে স্রোতে সাঁতার কেটে একা দলকে উদ্ধার করলেন। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে দলকে দিলেন জয়ের আশা। 

আলজারি জোসেফের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে জাকের ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। ৯১ রানে শেষ তার বীরত্বগাথা ইনিংস। ১০৬ বলে ৮ চার ও ৫ ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি। তার দ্যুতিময় ইনিংসে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৮ রান করে। প্রথম ইনিংসে ১৮ রানের লিড পেয়েছিল অতিথিরা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের লিড ২৮৬ রানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এই টেস্ট জিততে করতে হবে ২৮৭ রান। 

জাকেরকে একা রেখে ফিরলেন হাসান-তাসকিন

লেজের ব্যাটসম্যানদের ভোগাচ্ছেন কিমার রোচ। হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদের উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি পেসার। জাকের আলীকে একা রেখে ফিরেছেন বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান। হাসান স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৩ রানে। তাসকিন বল উইকেটে টেনে বোল্ড হন শূন্য রানে। হাসান মাহমুদকে নিয়ে শেষ উইকেটে লড়ছেন জাকের। 

দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে জাকেরের ফিফটি

আলজারি জোসেফের শর্ট বল মিড উইকেট দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠালেন জাকের। শট খেলার পর তাকিয়ে দেখার প্রয়োজনও অনুভব করলেন না। আত্মবিশ্বাসী শটে ৪৪ থেকে ফিফটিতে পৌঁছে যান জাকের। টেস্ট ক্যারিয়ারে যা তার তৃতীয় ফিফটি। ছক্কায় ফিফটি তোলার পর একটি চার ও ছক্কা হাঁকান জাকের। অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একা দাঁড়িয়ে লড়ে যাচ্ছেন। 

মুমিনলের আরেকটি ‘‘পেয়ার’’

আটে নেমেছিলেন মুমিনুল হক। তাইজুল ইসলাম ৫০ বল খেলে বিদায় নিয়ে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করেছিলেন। অথচ মুমিনুল হাঁটলেন উল্টোপথে। ৪ বলে থেমে গেল তার ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ডাক পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও রানের খাতা খুলতে পারলেন না বাংলাদেশের সফলতম টেস্ট ব্যাটসম্যান। কিমার রোচের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন। 

টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ‘পেয়ার’ পেলেন মুমিনুল। দুই ইনিংসে দুই ডাক। এর আগে ২০১৯ সালে ইডেনে গোলাপী বলের টেস্টে ‘পেয়ার’ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক। টেস্ট ক্রিকেটে এ নিয়ে ১৮তম বারের মতো ০ রানে আউট হলেন মুমিনুল। প্রথম ইনিংসে ডাক মেরে আশরাফুলকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। এবার নিজের রেকর্ডকে মুমিনুল নিজে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। 

মুমিনুলের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ। হারিয়েছে ৭ উইকেট। এরপর আর কোনো প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান নেই। লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়তে হবে জাকের আলীকে। 

জোসেফের বাউন্সারে তাইজুল প্যাভিলিয়নে, আটে মুমিনুল

তাইজুল ইসলাম নিজের কাজটা ঠিকঠাক করে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। পেসার আলজারি জোসেফের বাড়তি বাউন্সার সামলাতে পারেননি। বুকের ওপর তাক করা বাউন্সারে ব্যাট সরাতে পারেননি তাইজুল। বল ব্যাটের চুমু খেয়ে যায় প্রথম স্লিপে হজের হাতে। ৫০ বলে ১৪ রান যোগ করে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান ফেরেন সাজঘরে।

উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম আটে ব্যাটিংয়ে নামলেন মুমিনুল। 

এর আগে জাকেরকে ফেরাতে রিভিউ নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু কাজ হয়নি। পেসার আলজারি জোসেফের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে মিস করেন জাকের। বল তার হেলমেটে লেগে যায় উইকেটের পেছনে। উইকেটের আবেদনে আম্পায়ারের থেকে সাড়া না পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রিভিউ নিলেও ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন রিভিউয়ের প্রথমটি নষ্ট হয়।

বড় লিডের খোঁজে বাংলাদেশ

কিংসটন টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয়েছে। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জাকের আলী ও তাইজুল ইসলাম ব্যাটিংয়ে নেমেছেন। 

আজ বড় লিডের খোঁজে অতিথিরা। লিড যত বড় হবে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা তত বাড়বে। কাজটা কঠিন। তবে অসাধ্য নয় নিশ্চয়ই। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ভালো না হলেও প্রতি আক্রমণে গিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ভালো করেছে বাংলাদেশ। 

২১১ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ৫ উইকেটে দলের সংগ্রহ ১৯৭ রান। 

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায়। স্বল্প পুঁজি নিয়ে বোলাররা দারুণ লড়াই করে। পেসার নাহিদ রানার তোপে পুড়ে ক্যারিবিয়ানরা গুটিয়ে যায় ১৪৬ রানে। ১৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। 

এই ম্যাচের নাটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হাতেই। আজকের ব্যাটিংয়ের ওপর নির্ভর করবে ম্যাচের ভাগ্য।