গুণে গুণে টানা পাঁচ টেস্টে হার। লড়াইটুকুও করতে পারেনি। সামর্থ্য নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। ইনজুরিতে নেই নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। একই কারণে ছিলেন না অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। সবমিলিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের সামনে ছিল পাহাড়সম চাপ। প্রথম টেস্টে হারের পর চাপ বেড়ে হয় গুণ।
অবশেষে সেই চাপকে যেন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন মিরাজ। দলকে এনেছেন জয়ের বৃত্তে। ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে এনে দিলে ১০১ রানের অসাধারণ জয়। ম্যাচ শেষে কৃতিত্ব সতীর্থদের দিয়ে এটিকে অসাধারণ মুহূর্ত হিসেবে ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
‘আমরা সত্যিই ভাল খেলেছি এবং দিনে দিনে আরও উন্নতি করতে হবে। এই মুহূর্তে ভালো লাগছে। আমরা ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ছেলেরা সত্যিই ভালো বোলিং করেছে। প্রথম ইনিংসে নাহিদ রানা, দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিন ও তাইজুল। আমাদের জন্য অসাধারণ মুহূর্ত।’
জ্যামিকার স্যাবাইনা পার্কে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। নাহিদ রানার প্রথম ফাইফারে উইন্ডিজ করে মাত্র ১৪৬। ১৮ রানে এগিয়ে থেকে খেলতে নেমে জাকের আলীর ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে বাংলাদেশ লক্ষ্য দেয় ২৮৭ রানের।
তাড়া করতে নেমে তাইজুল ইসলাম-তাসকিন আহমেদদের তোপে মাত্র ১৮৫ রানে অলআউট হয়ন স্বাগতিক শিবির। বিদেশের মাটিতে পঞ্চম ফাইফারের দেখা পান তাইজুল। হন ম্যাচসেরা। তাসকিন নেন ২ উইকেট। সবমিলিয়ে ১১ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরা হন তাসকিন। এ ছাড়া হাসান ২ ও নাহিদ নেন ১টি উইকেট।
পেসারদের প্রশংসা করে মিরাজ বলেন, ‘এটা হচ্ছে প্রক্রিয়ার অংশ। এই পর্যায়ে আমাদের অনেক ফাস্ট বোলার আছে। নাহিদ, তাসকিন, হাসান, এখানে আরও আছেন তানজিম।’