পাওয়ার প্লে-তে ৫৬ রান। ১০০ হয় ৬৭ বলে। বাকি ৫৩ বলে প্রয়োজন ৭০ রান। বাংলাদেশের হাতে ১০ উইকেট। ফিফটি ডাকছিল দুই ওপেনার দিলারা আক্তার-সোবহানা মোস্তারিকে। এরপর ব্যাটিংয়ে দেখা গেলো মুদ্রার উল্টো পিঠ। সাত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ হেরে যায় ১২ রানে!
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর, ২০২৪) তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় দুই দল। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে গ্যাবি লুইসের দল ৫ উইকেটে ১৬৯ রান করে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি সর্বোচ্চ রান।
তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ থামে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে। ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেল।
দুই ওপেনার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরও ফিফটি তুলতে পারেননি। ৪১ বলে দিলারা ৪৯ ও ৩৫ বলে সোবহানা ৪৬ রান করেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ১০৩ রান। এরপর শুরু হয় উইকেটের মিছিল, থেমে যায় রানের চাকা। শারমিন আক্তার ১৩ বলে ২৩ রান ও তাজ নেজার ১৩ বলে ১৯ রান করে চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। শেষ দিকে চার ব্যাটার ১২ বলে করেন ৫ রান। এখানে পিছিয়ে যায় স্বাগতিক শিবির।
ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট ও কেলি সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন। এর আগে দুই ফিফটিতে ভর করে বাংলাদেশের ১৭০ রানের বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে আইরিশ নারী দল।
সর্বোচ্চ ৭৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন লিয়া পল। মাত্র ৪৫ বলে ১০টি চার ও ২টি ছয়ের মারে বড় রানের ভিত গড়ে দেন। ফিফটির দেখা পান মাত্র ২৮ বলে। ক্যারিয়ারের ৪৭তম ম্যাচ খেলতে নামা লিয়ার এটি ছিল প্রথম ফিফটি। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ৪৭ রান।
শেষ দিকে রানআউট হন উনা রেমন্ড। নতুন ব্যাটার হিসেবে সারাহ ফোর্বস নামলেও তাকে কোনো বলের মুখোমুখি হতে হয়নি।
৬০ রান আসে অধিনায়ক গ্যাবির ব্যাট থেকে। ৪২ বলে ৭টি চার ও ২টি ছয়ের মারে এই রান করেন তিনি। ফিফটির দেখা পান ৩২ বলে। গ্যাবি-লিয়ার শতরানের জুটি বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। ৬৪ বলে ১০৭ রান আসে তাদের জুটি থেকে।
এর আগে ওপেনিং জুটি ভাঙে মাত্র ১৬ রানে। হান্টার ১০ রান আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর প্রেন্ডারগাস্টকে নিয়ে এগোতে থাকেন গ্যাবি। এই জুটি থেমে যায় ৩০ রানে। প্রেন্ডারগাস্ট ১১ রান করেন। লারা ডেলানি ফেরেন ২ রান করে।
বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন জাহানারা আলম, ফারিহা তৃষ্ণা, জান্নাতুল ফেরদৌস ও নাহিদা আক্তার।