খেলাধুলা

লাল ও গোলাপি বলের মধ্যে পার্থক্য কী?

বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে লড়ছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে হচ্ছে দিবা-রাত্রীর। ফ্লাডলাইটের আলোয় লাল বলের বদলে খেলা হয় গোলাপি বলে। টেস্ট মূলত লাল বলের ফরম্যাট হিসেবেই পরিচিত। এর মাঝে গোলাপি বল এসে এই সংস্করণকে দিয়েছে ভিন্নতা। অনেকেই লাল বল ও গোলাপি বলের মধ্যে পার্থক্য জানতে চান। পার্থক্যটা আসলে কী?

২০১৫ সালের আগে লাল বলেই খেলা হতো টেস্ট। এরপর গোলাপি বল এসে তুমুল আলোচনার জন্ম দেয়। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে গোলাপি বল। তখন থেকেই ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঝেমধ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে এই বল। নিয়মিত ব্যবহার না হওয়ার কারণ, খেলোয়াড়রা এই বলে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারছে না।

লাল ও গোলাপি বলের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো, দুই বলের বার্ণিশ বা উপরিভাগের আবরণ। লাল বলের উপরিভাগটা খুবই যত্ন সহকারে পালিশ করা হয়। তাতে সাধারণভাবেই বলটা চকচকে ঝকঝকে লাগে দেখতে। এই জায়গায় গোলাপি বল তৈরি করার সময় উপরিভাগ চকচকে করার জন্য রং প্রয়োগ করা হয়। 

গোলাপি বলের উপরিভাগে অতিরিক্ত বার্ণিশের প্রলেপ দেওয়ার ফলে রং দীর্ঘস্থায়ী হয়। রাতে দীর্ঘ সময় বল করলেও চামড়ায় ফ্যাকাসে দাগ বসে যায় না। ঠিক এই জায়গায় লাল বলের বার্ণিশের প্রলেপ ক্ষণস্থায়ী। দিনের আলোয় দীর্ঘসময় বল করার ফলে এটি ধীরে ধীরে ঐজ্জ্বল্যতা হারাতে থাকে। দুই বলের সেলাই প্রায় একই মান অনুযায়ী দেওয়া হয়।

লাল বলের চেয়ে গোলাপি বল বেশি সুইং হয়। এর কারণও বার্ণিশের প্রলেপ। সময় যতো গড়ায়, লাল বল ততো ফ্যাকাসে হয়ে যায়, ঘাসের দাগ বসে যায়।  এই জায়গায় গোলাপি বলের বার্ণিশ দীর্ঘক্ষণ চকচকে থাকায় বল সবসময় নতুনের মতোই আচরণ করে। তাতে সুবিধা পান বোলাররা।

অতিরিক্ত বার্ণিশের কারণে গোলাপি বল স্কিডও হয় বেশি। ফলস্বরূপ, পেসার এবং স্পিনাররা বলের গতির উপর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন সহজেই। যার ফলে ব্যাটাররা বেশ বিভ্রান্ত হয়ে যান।  যেটা কাজে লাগিয়ে গোলাপি বলের রাজা হয়ে উঠছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। এই বলের সর্বোচ্চ উইকেট এই অজি গতি তারকার। সব মিলিয়ে ১৩টি গোলাপি বলের টেস্টে ৭২ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক।