খেলাধুলা

শিরোপা ধরে রাখার মিশনে দুইশর আগে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে যুবাদের চলমান এই আসরেও ফাইনালে উঠেছে তারা। ফাইনালের লড়াইয়ে লড়াকু পুঁজি পেল না লাল-সবুজের দল। ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৪৯.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান করতে সক্ষম হয়েছে আজিজুল হাকিমের দল।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৭ রানের মাথায় ফিরে যান ওপেনার কালাম সিদ্দিকী। তার বিদায়ে অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অন্য ওপেনার জাওয়াদ আবরার। 

জাওয়াদ-আজিজুল মিলে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামাল দেন। তবে জুটি বড় হয়নি। দলীয় ৪১ রানের মাথায় ২০ রান করে বিদায় নেন জাওয়াদ।  তার বিদায়ের পর আজিজুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস। দুজন মিলে দলকে পঞ্চাশের ঘর পার করান। 

এই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় তুলে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ারে ধরা পড়েন আজিজুল।  তিনি ২৮ বলে করেন ১৬ রান। এরপর শিহাব ও রিজান হোসেন মিলে দারুণ একটা জুটি গড়েন। দুজন মিলে সাবলীল খেলে দলকে নিয়ে আগাতে থাকেন। ১২৮ রানের মাথায় শিহাব ৪০ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। 

এরপর দ্রুতই বিদায় নেন দেবাশীষ দেবা (১)। দলকে দেড়শ পার করে একই পথ ধরেন ৪৭ রান করা রিজান। তার ৬৫ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৩টি চারের মার। রিজানের বিদায়ের পর সামিউন বশির এবং আল ফাহাদও বিদায় নেন দ্রুত। 

এক প্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন ফরিদ হোসেন। তাকে সঙ্গ দেন মারুফ মৃধা। ফরিদ ও মারুফ মিলে দলের চাহিদা অনুয়ায়ী খেলতে থাকেন।  দলীয় ১৯৭ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে পরে বিদায় নেন ফরিদ। ৪৯ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। এরপর আর বড় হয়নি বাংলাদেশের ইনিংস।

ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন হার্দিক রাজ, যুধাজিত গুহ ও চেতন শর্মা। ১টি করে উইকেট নেন কিরন চরমালি, কার্তিকীয়া ও আয়ুশ মহাত্র।