স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৯৮ রানের পুঁজি। পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচে এই রান তেমন কিছু নয়। আধুনিক ক্রিকেটে তো হরহামেশা এই রান তাড়া হয়ে যায়। কিন্তু ম্যাচটা যখন ফাইনাল, শিরোপা নির্ধারণী তখন এই রানটাও হয়ে উঠে পর্বত সমান। যেমনটা হলো ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের করা ১৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা অলআউট ১৩৯ রানে। ৫৯ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ জিতে নিয়েছে এশিয়া কাপ অনূর্ধ্ব-১৯ প্রতিযোগিতার শিরোপা। গত বছরও এই শিরোপা বাংলাদেশ পেয়েছিল। এবার যুবারা ট্রফি হাতচাড়া করেনি। কিন্তু জয়ের জন্য কী এই রান যথেষ্ট ছিল বাংলাদেশের?
দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম বিশ্বাস রেখেছিলেন বোলারদের ওপর। শুধু অধিনায়ক নন, গোটা দল ফাইনাল জিততে মরিয়া হয়ে ছিলেন। গোটা দলের আত্মবিশ্বাস এক মুহূর্তের জন্যও নড়েনি। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দলের অধিনায়ক আজিজুল হাকিম সেই কথাই বললেন, ‘‘খুব ভালো লাগছে। আল্লাহকে ধন্যবাদ। আমরা সবাই খুব খুশি। অল্প রানে আটকে গেলেও আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি জানতাম, আমার বোলাররা কী করতে পারে।’’
ফাইনালে বাংলাদেশের ব্যাটিং আশানুরূপ ভালো হয়নি। রিজান হোসেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। শিহাব জেমসের ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। ৩৯ রান করেন ফরিদ হাসান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় বড় স্কোর পায়নি বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের বিবর্ণ দিনে বোলাররা এগিয়ে এসেছেন। তাদের দ্যুতিময় পারফরম্যান্সে ভারত আটকে যায় অল্পতেই। ইকবাল ইমন ও আজিজুল ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন।
নিজেদের বোলিং পরিকল্পনা নিয়ে অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘ভারতের ব্যাটসম্যানরা অফসাইডে একটু লড়াই করছিল। বিশেষ করে চতুর্থ বা পঞ্চম স্টাম্প বরাবর বলে। পরিকল্পনা ছিল, অফসাইডে বোলিং করে তাদের ঝামেলায় ফেলা।’’
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে এসেছিলেন প্রবাসীরা। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘‘আমাদের সব সমর্থক এবং বাংলাদেশের সব মানুষকে ধন্যবাদ।’’