জিম্বাবুয়েকে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হালকাভাবে নিয়ে ম্যাচ হারতে হয়েছিল আফগানিস্তানকে। একদিন পর দ্বিতীয় ম্যাচে পেশাদারিত্ব দেখাল আফগানিস্তান। জিম্বাবুয়েকে ৫০ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল।
হারারেতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আফগানিস্তান ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করে। জবাবে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ১০৩ রানে। জিম্বাবুয়ের জয়ের নায়ক দারউইস রসুল। ৪২ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়েছেন আফগান ব্যাটসম্যান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তানের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। ৩৩ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় তারা। রহমানউল্লাহ গুরবাজ (১১), সাদিকুল্লাহ অটল (১৮) ও জুবায়েদ আকবারি (১) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। সেখান থেকে দারউস ও আজমতউল্লাহ উমারজাই ৪৩ বলে ৫৩ রান করে দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যান। আক্রমণের ধার বাড়াতে গিয়ে আজমতউল্লাহ ২৩ বলে ২৮ রানে বিদায় নিলেও দারউস তুলে নেন ফিফটি।
নিজের অষ্টম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম ফিফটির স্বাদ পেয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ রান করে বিদায় নেন। শেষ দিকে গুলবাদিন নাইবের ৩ চারে ২১ বলে ২৬ রানের ইনিংসে আফগানিস্তানের রান দেড়শ পেরিয়ে যায়।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের হয়ে ত্রেভর গয়ান্ডু ও রায়ান বার্ল ২টি করে উইকেট নেন।
প্রথম ম্যাচে ১৪৫ রান তাড়া করে জিম্বাবুয়ে শেষ ওভারে ম্যাচ জিতেছিল। এবারও লক্ষ্য নাগালে ছিল। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ম্যাচটা স্রেফ উপহার দিয়ে আসে তারা। ওপেনার ব্রায়ান বেনিট ২৬ বলে করেন ২৭ রান। সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে অধিনায়ক সিকান্দার রাজার ব্যাট থেকে। এছাড়া ১৩ রান করেন তাসিঙ্গা মুসেকিওয়া। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি।
আফগানিস্তানের পেসার নাভীন উল হক ও তারকা স্পিনার রশিদ খান ৩টি করে উইকেট নেন। ২ উইকেট পেয়েছেন মুজিব উর রহমান।
সিরিজের শেষ ম্যাচ শনিবার একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।