জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টিতে এবার সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী দিনে সেঞ্চুরি করে শুরুটা করে দিয়েছিলেন জিসান আলম। জিসানের পথ ধরে এবার বিজয়ের ব্যাট স্পর্শ করল তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার।
সিলেটে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ভর করে ঢাকার বিপক্ষে জয় তুলে নেয় খুলনা। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৮০ রান করে দলটি। তাড়া করতে নেমে ঢাকা থামে ১৫৯ রানে। ২১ রানের জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে খুলনা। পঞ্চম ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়।
ব্যাট করতে নেমে ধীরগতির শুরুর পর ইমরুল কায়েস ফেরেন ১১ বলে ১৪ রান করে। শুরু থেকে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন বিজয়। অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও বিজয়ের ব্যাট হেসেই চলেছে শেষ পর্যন্ত।
৩৮ বলে ফিফটির পর বিজয় সেঞ্চুরির দেখা পান ৬৬ বলে। ১০টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো ছিল ইনিংসটি। অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি বিজয়ের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে সর্বোচ্চ ছিল ১০৫ রান।
বিজয়ের সঙ্গে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন নুরুল হাসান সোহান। এছাড়া, ১৮ রান করেন আজিজুল হক তামিম। শূন্য রানে ফেরেন মোহাম্মদ মিথুন। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম অপু।
তাড়া করতে নেমে ঢাকা ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। শেষ পর্যন্ত সেই ধাক্কা সামলানো যায়নি। শেষ দিকে তাইবুর রহমান-মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৮৭ রানের জুটি গড়লেও কোনো লাভ হয়নি। তাইবুর ৬৩ ও অঙ্কন ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। আর কোনো ব্যাটার ২০ এর বেশি রান করতে পারেননি। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জায়েদ উল্লাহ।
এদিকে, একই সময়ে চলা অপর ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে রংপুর। বরিশালকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টানা পঞ্চম জয় পেয়েছে আকবর আলীর দল। তাদের অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আলাউদ্দিন বাবুর তোপে ১০৮ রানে অলআউট হয় বরিশাল। আলাউদ্দিন একাই নেন ৪ উইকেট। সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ইফতেখার হোসেন ইফতি।
তাড়া করতে নেমে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে ভর করে সহজে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর। রিজওয়ান ৫৩ রান করেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন ২১ ও আকবর ১৬ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। বরিশালের হয়ে মঈনুল ইসলাম ও মঈন খান ১টি করে উইকেট নেন।