এর আগে ৩৮ বল খেলে ৩ চার ও ৭ ছক্কা হাঁকিয়েছেন সিলেট বিভাগের অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বী। ঢাকা মেট্রোর দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তার একার ঝড়ে ম্যাচে টিকে ছিল সিলেট। ইনিংসের শেষ বলেও তার ব্যাট থেকে প্রয়োজন ছিল একটি বাউন্ডারি। নয়তো নিশ্চিত ম্যাচ হার!
ঢাকা মেট্রোর শহীদুল ইসলামের প্রথম পাঁচ বলে ২০ রান নিয়েছিলেন মাহফুজুর। জয়ের জোরালো সম্ভাবনা তাদেরই ছিল। কিন্তু শেষ বলে ভাগ্যকে পাশে পেলেন না। ডানহাতি পেসারের লেন্থ বল মিড উইকেটে পাঠিয়ে ২ রানে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তাতে নখ-কামড়ানো এক ম্যাচ শেষে মাত্র ১ রানে জয় পায় ঢাকা মেট্রো।
জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে টানা পাঁচ জয়ের স্বাদ পেল তারা। পাঁচ ম্যাচে পাঁচ জয়ে রংপুরের পরের অবস্থানেই তারা। পাঁচ জয়ে রংপুরই আছে শীর্ষে।
মাহফুজুর যখন ক্রিজে আসেন তখন ধুঁকছিল সিলেট। ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে ছিল তারা। সেখান থেকে তোফায়েলকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। পেস অলরাউন্ডার ২১ রান করে বিদায় নিলে ক্রিজে আসেন অমিত হাসান। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন।
তাই, লড়াইটা একার হয়ে যায় মাহফুজুরের। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে একাই ঝড় তোলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৩০ বলে তুলে নেন ফিফটি। এরপর আগ্রাসন দেখিয়ে এগিয়ে যান দলকে জেতাতে। শেষ ওভারে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেন। কিন্তু শেষ হাসিটা হাসতে পারেননি।
প্রথম ইনিংসে শেষ দিকে ঠিক এমনই এক ঝড়ে ঢাকা মেট্রোর রান দেড়শ পেরিয়ে যায়। আবু হায়দার রনি মাত্র ২৩ বলে ৪৭ রান করেন। ২ চার ও ৫ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। এছাড়া ২১ বলে ২৮ রান আসে শামসুর রহমান শুভর ব্যাট থেকে। আনিসুল ইসলাম ইমনের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৯ রান।
ভালো ব্যাটিংয়ের পর বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ঢাকা মেট্রোর পঞ্চম জয়ের নায়ক আবু হায়দার রনি।