:: সংক্ষিপ্ত স্কোর :: বাংলাদেশ: ১২৯/৭ (২০ ওভারে) উইন্ডিজ: ১০২/১০ (১৮.৩ ওভারে) ফল: বাংলাদেশ ২৭ রানে জয়ী ম্যাচসেরা: শামীম পাটোয়ারী সিরিজ: বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১২৯ রান করেও দারুণ জয় পেলো বাংলাদেশ। সফরকারীদের বোলিং তোপে রান তাড়া করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে ২৭ রানের জয় পায় ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। আর এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে।
টার্গেটটা অবশ্য খুব বড় ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা সেটাকে কঠিন করে তোলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য। পাওয়ার প্লে’তে ৩২ রানেই বাংলাদেশ তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪টি উইকেট। ২০ ওভার শেষে ৪৪ রানে তুলে নেয় ৬ উইকেট। সেখান থেকে রোস্টন চেজ ও আকিল হোসেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। ৮৯ রানের মাথায় চেজ ফিরেন ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ রান করে। এরপর অলআউট হতে বেশ সময় লাগেনি তাদের। ১৮.৩ ওভারের মাথায় ১০২ রানেই গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। আকিল ২ ছক্কায় করেন ৩১ রান।
বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন মাহেদী হাসান, তানজীম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেন।
১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন বাংলাদেশের শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
নবম উইকেট হারালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮তম ওভারে এসে আরও একটি উইকেট তুলে নেন তানজীম হাসান সাকিব। এবার তিনি আউট করেন নতুন ব্যাটসম্যান আলজারি যোসেফকে। তানজীম সাকিবের করা বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে যান যোসেফ। ২ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি। ১৮ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৯ উইকেটে ৯৮। জিততে এখনও প্রয়োজন ৩২ রান ১২ বলে।
জোড়া উইকেট নিয়ে স্বস্তি দিলেন রিশাদ: হাসান মাহমুদের ওভারে ১৬ রান নিয়ে হাত খোলেন রোস্টন চেজ ও আকিল হোসেন। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রিশাদ হোসেনকে ছক্কা মেরে শুরু করেন আকিল। এরপর নেন আরও ১ রান। কিন্তু চতুর্থ বলে রোস্টনকে বোল্ড করে ও পঞ্চম বলে গুদাকেশ মোতিকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন রিশাদ। রোস্টন ৩৪ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ করেন। আর মোতি গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন।
হাসানের ১ ওভারে ১৬ রান, কমলো ব্যবধান: হাসান মাহমুদের করা ১৬তম ওভারে ১৬ রান নিয়ে ব্যবধান কমান রোস্টন চেজ। প্রথম বলে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকান চেজ। পরের বলটি লং অফের উপর দিয়ে বাইরে ফেলেন। পরের চার বলে আকিল ও চেজ আরও চারটি রান নেন। তাতে ওই ওভারে মোট ১৬ রান তুলে ব্যবধান কমান। ১৫ ওভার শেষে ক্যারিবিয়ানদের রান ছিল ৬ উইকেটে ৬৬। সেখানে ১৬ ওভার শেষে হয় ৮২। জিততে ২৪ বলে এখনও প্রয়োজন ৪৮ রান।
রোস্টন-আকিল টানছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে: ৪২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন রোস্টন চেজ ও আকিল হোসেন। সপ্তম উইকেটে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে ইতোমধ্যে ২৪ রান যোগ করেছেন ৩৯ বলে। রোস্টন ২৯ বলে ১ চারে ১৮ ও আকিল ২০ বলে ১০ রানে অপরাজিত আছেন। ১৫ ওভার শেষে উইন্ডিজের রান ৬ উইকেটে ৬৬। জিততে ৩০ বলে প্রয়োজন আরও ৬৪ রান।
বাংলাদেশের বোলিং তোপে দিশেহারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ: সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলেই উইকেট পেতে পারতেন তানজীম হাসান সাকিব। কিন্তু প্রথম স্লিপে পাওয়েলর ক্যাচ ফেলে দেন সৌম্য সরকার। তবে নবম ওভারে এসে ঠিকই উইকেট তুলে নেন তিনি। এবার রোমারিও শেফার্ডকে প্রথম স্লিপে তানজিদ হাসানের তালুবন্দি করান এই পেসার। ৫ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি রোমারিও। ৯ ওভার শেষে ক্যারিবিয়ানদের রান ৬ উইকেটে ৪২। জিততে ৬৬ বলে প্রয়োজন ৮৮ রান।
৪১ রানেই ৫ উইকেট নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের: অষ্টম ওভারে এসে পঞ্চম উইকেট হারায় উইন্ডিজ। তাদের দলীয় রান তখন ৪১। হাসান মাহমুদের করা দ্বিতীয় বল অন সাইডে খেলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। কিন্তু বল তার ব্যাট ছুঁয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে চলে যায়। সেখানে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ নিচু ক্যাচটি তালুবন্দি করে পাওয়েলকে সাজঘরের পথ দেখান। ৭ বলে ১ চারে ৬ রান আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে।
পাওয়ার প্লে’তে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ: বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ১৩০ রানের মাঝারি টার্গেট তাড়া করতে নেমে রীতিমতো ধুঁকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ার প্লে’তে ৪ উইকেট হারিয়ে তারা তুলেছে মাত্র ৩২ রান। তৃতীয় ওভারে তাসকিন জোড়া উইকেট তুলে নেন। চতুর্থ ওভারে একটি উইকেট নেন মাহেদী। আর ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে মেডেন ওভার দিয়ে আরও একটি উইকেট নেন তিনি। এবার নিকোলাস পুরান প্রথম স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৮ বল খেলে ১ চারে ৫ রান করেন তিনি।
তাসকিনের জোড়া আঘাতের পরে মাহেদী নিলেন উইকেট: তাসকিন আহমেদের পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে আঘাত করলেন মাহেদী হাসান। তিনি ফিরিয়েছেন জনসন চার্লসেকে। মাহেদীর করা লেগ ব্রেক বল গিয়ে আঘাত করে তার প্যাডে। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। কিন্তু চার্লস রিভিউ নেন। অবশ্য বাঁচতে পারেননি তিনি। ১২ বল খেলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে তাসকিনের জোড়া আঘাত: বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ১৩০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাসকিন আহমেদের করা ওই ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে ফিরে যান ব্র্যান্ডন কিং। ৫ বল খেলে ১ চারে ৮ রান করেন তিনি।
এরপর পঞ্চম বলে একইভাবে আন্দ্রে ফ্লেচারকে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করান। ফ্লেচার ৪ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩০ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ: টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করেছে বাংলাদেশ। জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ১৩০ রান। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। তার মধ্যেও শামীম হোসেন পাটোয়ারী ১৭ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রান করেন। তাতে বাংলাদেশের রান ১২৯ পর্যন্ত যায়। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৪ উইকেটে ৪৫। শামীম ছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ এবং জাকের আলী ১ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২০ রান।
বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুদাকেশ মোতি ২টি উইকেট নেন।