জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টিতে টানা দুই ম্যাচ জিতলো খুলনা। গতকাল ঢাকা বিভাগকে হারানোর পর আজ চট্টগ্রামকে পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছে তারা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১২৯ রান করে। জবাবে ১৮.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে খুলনা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে তারা। ৬ ম্যাচের ৩টিতে জিতে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে তারা। সমান ম্যাচ থেকে সমান পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে চট্টগ্রাম আছে তৃতীয় স্থানে।
এদিকে বরিশালের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জয় পেয়েছে আগের ম্যাচে হার মানা সিলেট। বরিশাল আগে ব্যাট করতে নেমে ১৮.৪ ওভারে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে ১৮.৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান করে জয় পায় সিলেট। এই জয়ে ৬ ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে রয়েছে সিলেট বিভাগ। সমান পয়েন্ট নিয়ে বরিশাল আছে ষষ্ঠ স্থানে।
খুলনার জয়ে অলরাউন্ড নৈপূণ্যে অবদান রাখেন জিয়াউর রহমান। তিনি ফিল্ডিংয়ে দুটি ক্যাচ নেন। আর ব্যাট হাতে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ম্যাচসেরাও হন তিনি। জিয়াউর ছাড়া আজিজুল হাকিম তামিম ৩টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৩৬ রান করেন। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ২০ রান।
তার আগে চট্টগ্রামের অধিনায়ক ইয়াসির আলী দারুণ ব্যাটিং করেন। ৩৯ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। আর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩০ রান। ১৫টি রান আসে শামীম মিয়ার ব্যাট থেকে। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি। তাতে ৬ উইকেটে ১২৯ রানের বেশি সংগ্রহ পায়নি খুলনা। বল হাতে খুলনার জায়েদ উল্লাহ ও শেখ পারভেজ জীবন ২টি করে উইকেট নেন।
অন্যদিকে দুর্দান্ত বোলিং করে বরিশালের ইনিংসের লাগাম টেনে ধরেন সিলেটের ইবাদত হোসেন ও তোফায়েল আহমেদ। ইবাদত ৩.৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। আর তোফায়েল ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৫ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট।
বরিশালের ইফতেখার হোসেন ইফতি ৪ চারে সর্বোচ্চ ২৬ রানের ইনিংস খেলেন। আর কামরুল ইসলাম খেলেন ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রানের ইনিংস। সোহাগ গাজী ১৬ ও মইন খান করেন ১১ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটায় যেতে পারেননি।
রান তাড়া করতে নেমে সিলেটকেও ভুগতে হয়। ৪৮ রানেই হারায় ৪ উইকেট। ৬৫ রানে পাঁচটি। কিন্তু তৌফিক খানের ২১, ওয়াসিফ আকবরের ২০ ও মাহফুজুর রহমান রাব্বির অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে।
বরিশালের সেরা বোলার ছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। রুয়েল মিয়া ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ম্যাচসেরা হন সিলেটের অধিনায়ক রাব্বি।