খেলাধুলা

খুলনাকে ৮১ রানে গুঁড়িয়ে ফাইনালে ঢাকা মেট্রো

আগের দিন গুমোট আবহাওয়ায় ভেজা উইকেটে বোলাররা দাপট দেখিয়েছিলেন। রোববার (২২ ডিসেম্বর, ২০২৪) সিলেটের আকাশ ছিল রৌদ্রজ্জ্বল। দিনের একমাত্র ম্যাচের জন্য সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সেরা উইকেটটাকেই বেছে নেন আয়োজকরা। তারপরও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ঢাকা মেট্রো ও খুলনা বিভাগের ব্যাটিং একদমই ভালো হলো না।

নিরুত্তাপ ম্যাচে, লো স্কোরিং খেলায় খুলনাকে হারিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি আসরে ফাইনালে গেল ঢাকা মেট্রো। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) একই মাঠে ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রংপুর বিভাগ।

খুলনার আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা মেট্রো ৮ উইকেটে মাত্র ১১৯ রান জমা করে। ১২০ বলে ১২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে হতশ্রী পারফরম্যান্সে খুলনার ইনিংস থেমে যায় ৮১ রানে। স্বল্প পুঁজি নিয়েও বোলারদের বীরত্বে ৩৮ রানে জয় পায় ঢাকা মেট্রো।

ঢাকা মেট্রোর ইনিংস একাই টেনেছেন অধিনায়ক নাঈম শেখ। শুরু থেকে ১৮তম ওভার পর্যন্ত ক্রিজে কাটিয়েছেন। ৫৩ বল খেলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৭ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকে উড়াতে গিয়ে শেখ পারভেজ জীবনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া ঢাকার হয়ে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইমরানউজ্জামান (১৪) ও শহীদুল ইসলাম (১৬)। বাকিরা স্রেফ হতাশ করেন।

অথচ দুই ওপেনার শুরুতে ৪.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৪০ রান জমা করে। এরপর শুরু হয় তাদের বিপর্যয়। টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল এবং শেষে দিকে কোনো ব্যাটসম্যান লড়াই করতে না পারায় ১১৯ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা মেট্রো।

টানা দুই ম্যাচে রান পাননি শামসুর রহমান (২), মার্শাল আইয়ুব (৪) ও সাদমান ইসলাম (৮)। শ্রীলঙ্কান টি টেন খেলে এসে মোসাদ্দেক প্রথমবার মাঠে নামলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি। আবু হায়দার রনি খুলতে পারেননি রানের খাতাও।

খুলনার হয়ে পেসার দুই পেসার মাসুম খান টুটুল ও মেহেদী হাসান রানা এবং স্পিনার শেখ পারভেজ জীবন ২টি করে উইকেট নেন। ১ উইকেট পেয়েছেন প্রথমবার খেলতে নামা মোস্তাফিজুর রহমান।

সহজ লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ২ ওভারে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা। প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে ওপেনার আজিজুল হাকিম ও ইমরুল কায়েসকে ফেরান স্পিনার রাকিবুল। পরের ওভারে এনামুলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন মিঠুন। ৩ চারে এনামুল শুরুটা খারাপ করেননি। কিন্তু পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে মোসাদ্দেকের শিকার হয়ে ফেরেন সাজঘরে। ১৬ রানে থেমে যায় তার ইনিংস।

দলীয় রান পঞ্চাশে যেতেই খুলনা হারায় নাহিদুল ও সোহানের উইকেট। ৫০ রানে ৬ উইকেট হারানো খুলনা আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি। লেজের ব্যাটসম্যানরা পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছেন মাত্র। ২.৪ ওভারে ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ঢাকা মেট্রোর সেরা বোলার মোসাদ্দেক। এছাড়া ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রাকিবুল ও মারুফ।

৩ ওভারে ১ মেডেনে ১৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে রাকিবুল হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

রাউন্ড রবিন লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল ছিল ঢাকা মেট্রো ও রংপুর বিভাগ। এবার তারা শিরোপার লড়াইয়ে। কার মুখে শেষ হাসি ফোটে সেটা দেখার।