খেলাধুলা

দ. আফ্রিকাকে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দিলো পাকিস্তান

দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদেরই ঘরের মাঠে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করলো পাকিস্তান। রোববার (২২ ডিসেম্বর, ২০২৪) রাতে বৃষ্টি বিঘ্নিত তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াদের তারা হারিয়েছে ৩৬ রানে।

ওয়ান্ডারার্সে পাকিস্তান আগে ব্যাট করতে নেমে সাইম আইয়ুবের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৭ ওভারে ৯ উইকেটে ৩০৮ রান করে। জবাবে ৪২ ওভারে ২৭১ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের নাগাল পেতে দেননি পাকিস্তানের নবীন স্পিনার সুফিয়ান মুকিম। অভিষেক ম্যাচেই তিনি ৮ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ ৫২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। শাহীন আফ্রিদি ৭ ওভারে ১ মেডেনসহ ৭০ রান দিয়ে ২টি ও নাসিম শাহ ৯ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হেনরিখ ক্লাসেন এই ম্যাচেও দাপট দেখান। ৪৩ বলে ১২টি চার ও ২ ছক্কায় তিনি খেলেন ৮১ রানের ইনিংস। অভিষিক্ত অলরাউন্ডার করবিন বসচ ৫ চারে অপরাজিত ৪০ রান করেন। এছাড়া রাসি ফন ডের ডুসেন ৩৫, টনি ডি জর্জি ও মার্কো জানসেন ২৬টি করে রান করেন।

তার আগে পাকিস্তানের ইনিংসে ৯৪ বলে ১৩টি চার ও ২ ছক্কায় ১০১ রানের ইনিংস খেলেন সাইম। যা ছিল এই সিরিজে তার দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি। নভেম্বরে অভিষেকের পর ৯ ম্যাচ খেলেই তিন-তিনটি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ভবিষ্যত তারকা।

অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩, বাবর আজম ৭ চারে ৫২ ও সালমান আগা ৩৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৪৮ রানের ইনিংস। ২৮ রান করেন তৈয়ব তাহির। তাতে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩০৮ পর্যন্ত যায়।

বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা ছিলেন কাগিসু রাবাদা। তিনি ১০ ওভারে ৫৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। মার্কো জানসেন ৫৮ রানে ২টি ও বিজর্ন ফরচুইন ৫৬ রানের বিনিময়ে নেন ২টি উইকেট।

ম্যাচসেরা হন সেঞ্চুরিয়ান সাইম। তিন ম্যাচে ২৩৫ ও ২ উইকেট নিয়ে সিরিজ সেরাও হন তিনি।