দুপুর নাগাদ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পর্দা উঠবে। জুলাই অভ্যুথানকে ধারণ করে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক দেশের সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্ট হয়ে উঠছে তারুণ্যের উৎসব। ৭ দলের একাদশতম আসরে মাঠের লড়াইয়েও থাকছে একদল তরুণ।
যাদের সামনে আছে কুঁড়িতেই ওড়ার সুযোগ, নিজেদের সেরাটা দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সময়। এবারের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আস্থা রেখেছে অনূর্ধব-১৯ দলে খেলা কিংবা তার আশেপাশে থাকা বেশ কয়েকজন তরুণের উপর। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য এই তরুণ ক্রিকেটারদের তুলে ধর হলো…
জিসান আলম (দুর্বার রাজশাহী)
এনসিএল টি-টোয়েন্টি উদ্বোধনী ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দিয়েছেন চমকে। বড় বড় ছয়ে মনে জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিকেট ভক্ত হতে শুরু করে ভোক্তাদের। জিসান আলমের সামনে এবার সুযোগ বিপিএল মাতানোর। বাংলাদেশসহ বিশ্বের নামিদামি তারকাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করাসহ তাদের সঙ্গে লড়ার সুযোগ জিসানকে নিশ্চিতভাবে আরও পরিণত করবে। এখন পর্যন্ত ৯টি-টোয়েন্টিতে ১৫১ স্ট্রাইকরেটে ২০ বছর বয়সী জিসান রান করেছেন ২৯৬টি।
আজিজুল হাকিম তামিম (রংপুর রাইডার্স)
আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বে এবার যুব এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। নেতৃত্বগুণও অসাধারণ। এশিয়া কাপের পর এনসিএল টি-টোয়েন্টি মাতিয়েছেন ১৩৬-এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। ৯ ম্যাচে করে ২৩৭ রান। তাকে দলে ভেড়াতে ভুল করেনি রংপুর রাইডার্স। আজিজুলের সামনে এবার শুধু এগিয়ে যাওয়ার পালা।
জাওয়াদ আবরার (সিলেট স্ট্রাইকার্স)
আজিজুল হাকিম তামিমের সতীর্থ জাওয়াদ আবরারকে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। যুব এশিয়া কাপে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে দেখিয়েছেন সামর্থ্য। ১৪১-এর বেশি স্ট্রাইকরেটে তিন ম্যাচে জাওয়াদ করেন ১০৫ রান। এতে খুলে যায় বিপিএলের দরজা। এবার বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ।
ইকবাল হোসেন ইমন (ফরচুন বরিশাল)
যুব এশিয় কাপে ১১ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এরপর এনসিএল টি-টোয়েন্টি ইকবাল হোসেন ইমনের পথ আরও সুগম করে। খুলে দেয় বিপিএলের দরজা। তামিমের দল ফরচুন বরিশাল হাত বাড়িয়ে দেয়। ৬ ম্যাচে নিয়েছেন সমান ৬ উইকেট। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।
মারুফ মৃধা (চিটাগং কিংস)
আগের বছরই যুব দলের হয়ে গতির ঝড়ে তাক লাগিয়েছিলেন মারুফ মৃধা। সুযোগ আসে লিস্ট এ ক্রিকেটে। সেখানেও নিজেকে মেলে ধরেন। খেলেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটও। এবার সুযোগ এলো বিপিএলে। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করে মারুফ ডাক পান চিটাগং কিংসে। এবারের যুব এশিয়া কাপে ৩ ম্যাচে উইকেট নিয়েছিলেন। আর এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার চার ম্যাচে পাঁচ উইকেট।