সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিন কাটল নাটকীয়তায়। একদিনে বোলারদের পকেটে গেল ১৫ উইকেট। রান হলো না তেমন। কিন্তু ওই ‘তেমনের’ ভেতরে অনন্য রিশভ পান্ত। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে আবার ২২ গজ করলেন উত্তপ্ত। তাতে ভাঙল টেস্ট ক্রিকেটের ১৩০ বছরের পুরোনো এক রেকর্ড। তার রেকর্ড ভাঙার দিনে ভারতের পেসার জসপ্রিত বুমরাহও নতুন কীর্তি গড়েছেন। উইকেট সংখ্যায় পেছনে ফেলেছেন কিংবদন্তি বিষান সিং বেদীকে।
চলমান বর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে বুমরাহ অসাধারণ, অনন্য পারফর্ম করে যাচ্ছেন। সিডনি টেস্টে শনিবার বোলিংয়ের সময় পেছনে ব্যথা অনুভব করায় মাঠ ছেড়ে উঠে যান। এরপর আর ফেরা হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে রবিবার সকালে। যদি না-ও পারেন তাতে কি আসে যায়!
ইতিহাসের পাতায় নতুন অধ্যায় তো যুক্ত করা হয়েছে। ৫ ম্যাচে ৯ ইনিংসে বুমরাহর শিকার ৩২ উইকেট। আগের দিন উসমান খাজার উইকেট নেন। আজ লাবুশানেকে আউট করে দ্বিতীয় উইকেটের স্বাদ পান। তাতে বিষান সিং বেদিকে পেছনে ফেলেন। ভারতের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এক সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডটা নিজের করে নেন এ পেসার।
১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে স্পিনার বেদি ৫ ম্যাচে ১০ ইনিংসে ৩১ উইকেট পেয়েছিলেন। কিংবদন্তি স্পিনার বোলিং করেছিলেন ১৭৫৯ বল। বুমরাহ ৯০৮ বল করেই রেকর্ডটা নিজের করে নেন।
পান্ত দ্বিতীয় ইনিংসে যখন ব্যাটিংয়ে আসেন তখন ভারত খাদের কিনারায়।উইকেটে নেমে স্কোরবোর্ডের চিত্র পাল্টে দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৩৩ বলে করেন ৬১ রান। ছয় চারের সঙ্গে হাঁকান চার ছক্কা। এই ইনিংস খেলার পথে ২৯ বলে পেরিয়েছেন ফিফটি। ভারতের ক্রিকেটারদের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটে যা দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। আগের রেকর্ডটা তারই দখলে। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৮ বলে ফিফটি করেছিলেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে রেকর্ডটি ছুঁয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন পান্ত। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সফরকারী দলের ব্যাটার হিসেবে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড এখন তারই দখলে। ভেঙেছেন ১৩০ বছরের পুরোনো রেকর্ড।
১৮৯৫ সালে ইংল্যান্ডের জন ব্রাউন ৩৩ বলে ফিফটি করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রয় ফ্রেড্রিকসও সমান বলে ফিফটি করেছিলেন। পান্ত সবাইকে ছাড়িয়ে একেবারে চূঁড়ায়। এছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ৩০ বলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন তিনি। ৩০ বলে পান্ত করেছিলেন ৬০ রান। ২০১৪ সালে দ্রুততম টেস্ট সেঞ্চুরি করার পথে মিসবাহ উল হক ৩০ বলে ৬৫ রান করেছিলেন। যে রেকর্ডটি এখনো অক্ষত।